বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ স্থান অসম, বিজেপি সরকারের প্রত্যাবর্তনের বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান। মঞ্চে বসে আছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই অনুষ্ঠানেই নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এমন কিছু বলে ফেললেন যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে তীব্র বিতর্ক।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী মোদীকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অমিত শাহকে প্রধানমন্ত্রী বলে সম্বোধন করেন। পুরোটাই নাকি ভুল করে মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই দাবি বিজেপির। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যে গভীর কৌশল দেখছে বিরোধীরা।
গেরুয়া শিবির ইতিমধ্যেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছে। গেরুয়া শিবিরের দাবি মানুষ মাত্রেই ভুল হয়। এটাও তেমনই একটা ভুল। এটা নিয়ে অতিরিক্ত চেঁচামেচি করার কিছু হয়নি। বিজেপি যাই বলুক না কেন, এদিন বক্তৃতা দেওয়ার সময় হিমন্ত বিশ্বশর্মার ‘অনিচ্ছাকৃত’ ভুলের সঙ্গে অতীতের অসমের এক বিজেপি সাংসদের মন্তব্যের মিল খুজে পাচ্ছে হাত শিবির। এই প্রসঙ্গে এদিন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি টুইটও করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘যখন সর্বানন্দ সোনওয়াল মুখ্যমন্ত্রীছিলেন তখন অসমের এক সাংসদ হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে মুখ্যমন্ত্রী বলে সম্বোধন করেছিলেন। পরে দেখা গেল, তিনিই নির্বাচনে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হলেন। এবার ঠিক সেভাবেই অমিত শাহকে প্রধানমন্ত্রী বললেন হিমন্ত।’
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে, ‘তাহলে বিজেপি কি দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদীজী সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে? নাকি নাকি অমিত শাহজিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাসোনর আগে প্রচার চলছে?’
একই প্রশ্ন তুলেছেন অসম জাতীয় পরিষদের (এজেপি) মুখপাত্র জিয়াউর রহমানেরও। তাঁর টুইট, শর্মার শাহকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সম্বোধন করা ‘মুখ ফসকানো নয় বরং একটি কৌশল’। রহমানের কথায়, ‘এ ধরনের বক্তব্যের পেছনের মূল উদ্দেশ্য পরে স্পষ্ট হয়েছে। সুতরাং, আজকের প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সম্বোধন করার পিছনে মুখ্যমন্ত্রী শর্মার উদ্দেশ্য বোঝা কঠিন নয়।’
অন্যদিকে, বিজেপির মুখপাত্র রূপম গোস্বামী বিরোধীদের দাবি উরিয়ে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিছকই মুখ ফসকে ভুল ছিল। এটা যে কারোর সঙ্গেই ঘটতে পারে। এমনকী এতে নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহও ক্ষুব্ধ নন।’ এর পাশাপাশি বিরোধী শিবিরকে আক্রমণ করে তিনি বলেছেন, ‘বিরোধী দলগুলির জনগণের সমস্যা শোনার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত এবং বাস্তব সমস্যা নিয়ে কথা বলা উচিত।’
আপনার মতামত লিখুন :