বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গত বুধবার সকালে কাশ্মীর উপত্যকায় পুলিশের এনকাউন্টারে দুই জঙ্গি নিহত হয়। দুদিন কাটতে না কাটতেই ফের জম্মু-কাশ্মীরে নিহত আরও এক জঙ্গি। জঙ্গি ও নিরাপত্তা বাহিনীর পারস্পরিক সংঘর্ষেই নিহত হন ওই জঙ্গি। জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলার তুর্কওয়াঙ্গাম এলাকায় পুলিশের এনকাউন্টারে নিহত হন তিনি।
জানা গিয়েছে, নিহত জঙ্গির নাম মুনীব আহমেদ শেখ। সূত্র মারফত খবর পেয়ে জম্মু-কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলার তুর্কওয়াঙ্গাম এলাকায় হানা দেয় কাশ্মীর পুলিশের একটি দল। শুরু হয় তল্লাশি। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলা হয় পুলিশ বাহিনী দিয়ে। পরিস্থিতি দেখে চুপ করে বসে থাকেনি জঙ্গি বাহিনীও।
পুলিশ বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে জঙ্গিদের দল। পাল্টা কয়েক রাউন্ড গুলি চলে পুলিশের পক্ষ থেকেও। পারস্পরিক গোলাগুলিতেই নিহত হন ওই জঙ্গি। সন্দেহ, ওই এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে আরও অনেক জঙ্গি। তাদের খোঁজে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে চিরুনি তল্লাশি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত জঙ্গির কাছ থেকে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি, অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একটি দল, রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং সিআরপিএফ পুলওয়ামা এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে তিনজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে তারা প্রত্যেকেই জইশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠীর সদস্য। পুলওয়ামার বাসিন্দা ওই তিন ধৃতের নাম ওয়েইস আলতাফ, আকিব মঞ্জুর এবং ওয়াসিম আহমেদ পণ্ডিত।
সূত্রের খবর, ওই তিন ধৃত সন্ত্রাসবাদীদের বিভিন্ন রকম সরঞ্জাম সরবরাহ করার কাজে লিপ্ত ছিল। গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি অত্যাধুনিক রাইফেল, একটি গ্রেনেড, তিনটি ম্যাগাজিন এবং অজস্র গোলাবারুদ।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ কাশ্মীরে বেশ কয়েকজন লস্কর জঙ্গি লুকিয়ে থাকার খবর মেলে। এরপর সেদিন মাঝরাত থেকেই রাইনাওয়াড়ি এলাকায় পুলিশ ও সিআরপিএফ বাহিনী তল্লাশি শুরু করে। ৩০ মার্চ সকালে যৌথবাহিনীর সঙ্গে পারস্পরিক সংঘর্ষ শুরু হয় জঙ্গিদের। বেশ কিছুক্ষণ সংঘর্ষ চলার পর যৌথবাহিনীর গুলিতে নিহত হন দুই জঙ্গি।
আপনার মতামত লিখুন :