1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

পঞ্জিকা মেনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়ন পেশ করলেন দ্রৌপদী মুর্মু! প্রস্তাবক মোদী-শাহরা

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২২, ০৩:৩৬ পিএম

পঞ্জিকা মেনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়ন পেশ করলেন দ্রৌপদী মুর্মু! প্রস্তাবক মোদী-শাহরা
পঞ্জিকা মেনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়ন পেশ করলেন দ্রৌপদী মুর্মু! প্রস্তাবক মোদী-শাহরা

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ পূর্ব পরিকল্পনা মতো পঞ্জিকা মেনে আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়ন পেশ করলেন দ্রৌপদী মুর্মু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার উপস্থিতিতে মনোনয়ন জমা দিলেন তিনি। 

এদিন রীতিমতো হিন্দি পঞ্জিকা মেনে ‘অভিজিৎ মুহূর্তে’ প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাখিল করলেন তিনি। রাষ্ট্রপতির মনোনয়নে ৫০ জন প্রথম প্রস্তাবক এবং ৫০ জন সমর্থনকারীকে দ্বিতীয় প্রস্তাবক রাখার নিয়ম রয়েছে। দ্রৌপদী মুর্মুর প্রথম প্রস্তাবকের তালিকায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে নাড্ডারা। এছাড়াও এদিন বিজেপিশাসিত বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের পাশাপাশি জোটসঙ্গীরাও উপস্থিত ছিলেন এদিন দ্রৌপদী মুর্মুর মনোনয়ন পেশের সময়। 

উল্লেখ্য, আগেই ঠিক হয়েছিল যে, আদিবাসী নেত্রী তথা ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মুর মনোনয়ন দাখিলের এই প্রক্রিয়াকে শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ হিসেবে তুলে ধরবে বিজেপি। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, এদিন দিল্লিতে ডাকা হয়েছিল বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। এদিন উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, ছিলেন বাসবরাজ বোম্বাইও। আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হলে, দ্রৌপদী মুর্মু হবেন দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি এবং সেই সঙ্গে দেশের দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি। 

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহার থেকে অনেকটাই এগিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু। যদিও নিজের দলের প্রার্থীকে সরাসরি নির্বাচনে জেতাতে বিজেপির যে সংখ্যক ভোটের প্রয়োজন, তা কেন্দ্রের বিজেপিশাসিত সরকারের এই মুহূর্তে নেই। এক্ষেত্রে তাঁদের ২ শতাংশ কম ভোট রয়েছে। সেক্ষেত্রে মোদী-শাহ’র পাখির চোখ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের BJD, অন্ধ্রপ্রদেশের জগনমোহন রেড্ডির দল এবং তেলেঙ্গানার টিআরএস-এর মতো দলগুলি। এদের নির্বাচনে পাশে পাওয়ার চেষ্টা করবে বিজেপি। তাছাড়া ওড়িশার ভূমিকন্যা দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করে নবীন পট্টনায়কের BJD-র ভোট পাওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী বিজেপি। ইতিমধ্যেই নবীন পট্টনায়ক শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন ওড়িশার ভূমিকন্যা দ্রৌপদী মুর্মুকে। আর বাকি থাকে শুধু অন্ধ্রপ্রদেশের জগন মোহন রেড্ডির দল এবং তেলেঙ্গানার টিআরএস-এর মতো দলগুলি।

উল্লেখ্য, বিরোধী জোটের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বৈঠকে যোগ দেননি জগনমোহন রেড্ডি এবং তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা টিআরএস সুপ্রিমো কে চন্দ্রশেখর রাও। তা থেকেই ফায়সা লোটার চেষ্টায় রয়েছে বিজেপি আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে। তাই এই তিন দলের ভোট বিজেপির দিকে গেলেই দ্রৌপদী মুর্মুর জয় নিশ্চিত। 
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বেশিরভাগের মতে, যশবন্তের তুলনায় রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে দ্রৌপদীই। তার বড় কারণ মহারাষ্ট্রের বিদ্রোহ, হিমাচল, রাজস্থানে কংগ্রেসের দ্বন্দ্বের সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে। এখন এতাও দেখার আপ বাঁ আম আদমি পার্টি কোনদিকে যায়। আগামী ১৮ জুলাই দেশের ১৬ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ২১ জুলাই রয়েছে ভোটগণনা। তবে শেষ পর্যন্ত কে হবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি, তার জন্য গণনা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তারপরেই মিলবে উত্তর।

দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে দু-চার কথা, ১৯৫৮ সালের ২০ জুন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম বিরাঞ্চি নারায়ণ টুডু। দৌপদী মুর্মুর কর্মজীবন শুরু হয়েছিল একজন শিক্ষিকা হিসেবে। দ্রৌপদী মুর্মু ওডিশার প্রাক্তন মন্ত্রী ছিলেন এবং ২০০০ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত রায়রাংপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। ২০০০ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিজেপি এবং বিজেডি’র জোট সরকার থাকাকালীন তিনি মন্ত্রীত্ব সামলেছেন। তাঁর দায়িত্বে ছিল পরিবহণ, পশুপালন এবং মৎস্য দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। দৌপদী মুর্মু ঝাড়খণ্ডের নবম রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। তিনিই ঝাড়খণ্ডের প্রথম রাজ্যপাল, যিনি রাজ্যপালের পাঁচ বছরের কার্যকালের মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

এবার আসা যাক কেন বিজেপি দ্রৌপদী মুর্মুকে বাছাই করল প্রার্থী হিসেবে সেই প্রসঙ্গে। উল্লেখ্য, চলতি বছরেই গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। আবার সামনের বছর অর্থাৎ ২০২৩-এ রয়েছে রাজস্থান, ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচন। তাই তার আগে দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি হলে, দ্দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি যে হবে, তাই শুধু নয়, গুজরাট- সহ একাধিক রাজ্য যেখানে আদিবাসী ভোটার রয়েছে, আগামী সব রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁদের ভোটও বিজেপির ঝুলিতেই যাবে। ঠিক যেমন হয়েছিল বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সময় ২০১৭ সালে। রামনাথ কোবিন্দ দলিত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান। সেই আবেগকে হাতিয়ার করেই ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে দলিত ভোটারদের ভোট টানতে পেরেছিল বিজেপি। এদিকে, মনোনয়ন দেওয়ার দিনই বিরোধী শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে সমর্থন প্রার্থনা করেছেন দ্রৌপদী।

আরও পড়ুন