বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সদ্য সমাপ্ত হওয়া পঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনে হেরেছে কংগ্রেস। পঞ্জাবে নতুন সরকার গঠন করেছে আম আদমি পার্টির সরকার। এদিকে, বুধবারই কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর নির্দেশে পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন নভজ্যোত সিং সিধু। তবে, নিজের পদ হারিয়েও তাঁর কোনও দুঃখ নেই। উল্টে তিনি পঞ্জাবের নয়া সরকার আম আদমি পার্টির প্রসংশায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। পঞ্জাবের নয়া মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন ভগবন্ত মান। বৃহস্পতিবার তাঁকে টুইটে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সিধু। সেই সঙ্গে তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘পঞ্জাবে মাফিয়া-বিরোধী এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল।’
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনে পঞ্জাবে কংগ্রেসের শোচনীয় হারের জন্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নির সমর্থকরা নভজ্যোত সিং সিধুর উপরেই দোষ চাপাচ্ছেন। এদিকে, সিধু ফল প্রকাশের পরই হার স্বীকার করে নিয়ে আম আদমি পার্টিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। সেই শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি লিখেছিলেন যে, ‘পাঞ্জাবের জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
এরপর বৃহস্পতিবারও টুইট করে সিধু আম আদমি পার্টি এবং পঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে শুভেচ্ছা জানান। সিধু লেখেন, ‘পৃথিবীতে সবথেকে খুশি ব্যক্তি তিনিই, যার থেকে কেউ কোনও প্রত্যাশা রাখে না… ভগবন্ত মান পঞ্জাবে মাফিয়া বিরোধী এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলেন, যাকে ঘিরে বিপুল প্রত্যাশা রয়েছে। আশা করছি তিনি সকলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন, জনকল্যাণ নীতি গ্রহণ করে পঞ্জাবকে উন্নয়নের পথে চালিত করবেন।’
প্রসঙ্গত, গত বছর থেকেই পঞ্জাবে কংগ্রেসের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব সামনে এসেছিল। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে ড্রাগ মাফিয়াদের আড়াল করা, বিরোধীদের প্রতি নমনীয় মনোভাব দেখানো ইত্যাদি নানা অভিযোগ তোলেন সিধু। তাঁর সঙ্গে সিধুর বিরোধের কারণেই একসময় বাধ্য হয়েই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন অমরিন্দর সিং। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর আসনে সিধু নিজে বসতে চাইলেও, বিধানসভা নির্বাচনের কথা বিবেচনা করে, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রী আসনের জন্য পঞ্জাবের দলিত শিখ নেতা চরণজিৎ সিং চন্নিকেই নির্বাচন করেন।
চরণজিৎ সিং চন্নি মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসলে, তাঁর সঙ্গেও একাধিক বিষয়ে সিধুর সঙ্গে মতবিরোধ শুরু হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, পঞ্জাবে কংগ্রেসের শোচনীয় হারের অন্যতম কারণ অন্তর্দ্বন্দ্ব। আর এর জন্য মূলত দায়ী সিধু।
অন্যদিকে, পঞ্জাবে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর, সিধু যেভাবে আপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন, তাতে ফের একবার তাঁর দলবদলের জল্পনা চরমে উঠেছে। উল্লেখ্য, তাঁর আপ-প্রীতি এই প্রথম নয়। এর আগে সিধু বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আগে আম আদমি পার্টির সঙ্গেও কথা বলেছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :