1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

কম নম্বর দেওয়ায় পরীক্ষায় ফেল! স্কুলের মধ্যেই অঙ্কের শিক্ষককে গাছে বেঁধে মার ছাত্রদের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২২, ০৫:৩২ পিএম

কম নম্বর দেওয়ায় পরীক্ষায় ফেল! স্কুলের মধ্যেই অঙ্কের শিক্ষককে গাছে বেঁধে মার ছাত্রদের
কম নম্বর দেওয়ায় পরীক্ষায় ফেল! স্কুলের মধ্যেই অঙ্কের শিক্ষককে গাছে বেঁধে মার ছাত্রদের

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ক্লাস নাইনের অঙ্ক পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়া হয়েছে কেন? এই ক্ষোভে সরকারি স্কুলের শিক্ষককে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল নবম শ্রেণীর একদল ছাত্রের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার এই ঘটানটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলার গোপীকান্দার থানার তফসিলি জাতি আবাসিক স্কুলে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই স্কুলের নবম শ্রেণির ৩২ জন পড়ুয়ার মধ্যে ১১ জন পড়ুয়াকে পরীক্ষায় ‘ডাবল ডি’ গ্রেড দিয়েছিলেন অঙ্কের শিক্ষক। যা ফেল করার সমতুল্য। শনিবার ঝাড়খণ্ড অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল (জেএসি) অঙ্কের ফল ঘোষণা করতেই আবাসিক স্কুলে উত্তেজনা ছড়ায়। রেজাল্ট দেখে ক্ষেপে যায় ফেল করা ছাত্ররা। তাঁদের অভিযোগ, অঙ্কের শিক্ষক সুমন কুমার অঙ্কের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় কম নম্বর দেন, সেই কারণেই তারা ফেল করেছেন। এই কারণেই তারা সুমন কুমার এবং এক অশিক্ষক কর্মী সোনেরাম চাউড়েকে গাছে বেঁধে মারধর করে।

এদিকে, এক সংবাদ সংস্থাকে গোপীকান্দার থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক নিত্যানন্দ ভক্তা জানিয়েছেন, ‘এই ঘটনায় কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ লিখিত কোনও অভিযোগ জমা দেননি। বিষয়টি জানতে পেরে স্কুল কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ জমা দিতে বলেছি। কিন্তু তাতেও তাঁরা রাজি হননি। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা যদি পুলিশে অভিযোগ করেন, তা হলে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’

জানা গিয়েছে, গোপীকান্দারের বিডিও অনন্ত ঝা নিজে ওই আবাসিক স্কুলে গিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন যে, ওই আবাসিক স্কুলে ২০০ পড়ুয়া রয়েছে। বেশিরভাগ পড়ুয়াই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তিনি আরও বলেছেন, ‘আক্রান্ত অঙ্কের শিক্ষক আগে ওই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক ছিলেন। কিন্তু কোনও কারণে তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। স্কুলের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নবম এবং দশম শ্রেণিকে দু’দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’

অন্যদিকে, পড়ুয়াদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ওই শিক্ষক ইচ্ছে করেই তাদের ফেল করিয়েছেন। এই ঘটনার জন্য সমানভাবে দায়ী স্কুলের কেরানিও। তিনি জেএসি-র ওয়েবসাইটে এই ফল আপলোড করেছেন।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিডিও বলেন, ‘প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার নম্বর এবং কোন দিন সেই ফল ওয়েবসাইটে আপলোড করেছেন তা স্কুল কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেননি। তাই বিষয়টি স্পষ্ট নয় যে, পড়ুয়ারা থিয়োরিতে ফেল করেছে, না কি প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায়। প্রাথমিকভাবে যা জানা গিয়েছে তা হল, গুজবে কান দিয়েই পড়ুয়ারা হামলা চালিয়েছে।’

 

আরও পড়ুন