বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ক্রমশই জটিল হচ্ছে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংকট। এরই মাঝে দলের জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ডাক দিল শিবসেনা। আজ অর্থাৎ শনিবার দুপুর ১টায় শিবসেনা ভবনে সংঘটিত হবে বৈঠকটি। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
শুক্রবার দলের বিভিন্ন জেলার প্রধানদের নিয়ে একটি সভা আহ্বান করেন উদ্ভব ঠাকরে। সভা থেকে তিনি বলেন, “আমরা এই বিদ্রোহীদের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য টিকিট দিয়েছিলাম। যদিও আপনারা অনেকেই একই পদের প্রার্থী ছিলেন। এই লোকেরা আপনাদের কঠোর পরিশ্রমের কারণে নির্বাচিত হওয়ার পরেও অসন্তুষ্ট এবং আপনারা এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আপনাদের জন্য কোনও ধন্যবাদ যথেষ্ট নয়।”
বর্তমানে উদ্ভব ঠাকরের গদি একপ্রকার নড়বড়ে। সংকটে শিবসেনা নেতৃত্বাধীন এমভিএ সরকার। একাধিক শিবসেনা নেতার পদ্মশিবিরে যোগদান করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে একনাথ শিন্ডের বিদ্রোহের পর থেকেই সরকারের ভিত টলমল। মুখ্যমন্ত্রীত্ব দখলের পাশাপাশি উদ্ভব ঠাকরের হাত থেকে শিবসেনার পতাকা ছিনিয়ে নেওয়াই একনাথের উদ্দেশ্য। তাই রীতিমতো আটঘাট বেঁধেই রাজনৈতিক যুদ্ধে নেমেছেন বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডে।
অসমের গুয়াহাটির একটি হোটেলে বসে ৩৮ জন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কের সমর্থনে নিজেদের ‘আসল শিবসেনা’ বলে দাবি করেছেন। অন্যদিকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীও। ‘নতুন শিবসেনা’ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন দলের সভাপতি। বলেছেন, “বিশ্বাসঘাতকদের বিজেপি নিয়ে গিয়েছে। এ বার আমরা নতুন শিবসেনা গড়ব”। আর সেই উদ্দেশ্যেই শনিবার দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ডেকেছেন তিনি।
এছাড়াও শিন্ডেকে একহাত নিয়ে উদ্ভব ঠাকরে বলেন, “আমি একনাথ শিন্ডেকে বলেছিলাম জোটের অংশীদারদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে। তিনি আমাকে বলেন যে বিধায়কেরা তাঁকে চাপ দিচ্ছেন যাতে সেনা বিজেপির সঙ্গে হাত মেলায়। আমি সেই বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম।”
অন্যদিকে শুক্রবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, ডেপুটি সিএম অজিত পাওয়ার। মুম্বইয়ের ব্যক্তিগত বাসভবন ‘মাতোশ্রী’-তে চলে বৈঠক। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী জয়ন্ত পাটিল এবং এনসিপি নেতা প্রফুল প্যাটেলও। বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী শক্তি বৃদ্ধি করে চললেও পতনের হাত থেকে এমভিএ সরকারকে উদ্ধার করতে নেতাদের এই বিশেষ বৈঠক সম্পন্ন হয়। আপাতত সরকারকে স্থিতিশীল রাখাই তাদের উদ্দেশ্য।
আপনার মতামত লিখুন :