বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আবার একবার শুরু হল প্রাক্তন বনাম বর্তমানের লড়াই। দশেরা মঞ্চ থেকেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে বিশ্বাসঘাতকের তকমা দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। এবার তার পাল্টা জবাব দিলেন মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, তিনি বিশ্বাসঘাতক নন, বরং বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন খোদ উদ্ধব ঠাকরে।
কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে শিবসেনার জোট বাঁধাকে কটাক্ষ করে শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বলেন, ‘কংগ্রেস- এনসিপির সঙ্গে জোট বেঁধে আপনিই (উদ্ধব ঠাকরে) বালা সাহেব ঠাকরে ও শিবসেনার সমর্থকদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।’
গতকাল একদিকে যেমন শিবাজি পার্কে দশেরা পালিত করে উদ্ধব ঠাকরের শিবির, আবার এমএমজিএ পার্কে দশেরার আয়োজন করেছিল একনাথের শিবিরও। শিবাজি পার্ক থেকে উদ্ধব ঠাকরে মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথকে বিশ্বাসঘাতক বলার পরই পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেননি শিন্ডেও। তিনি জবাবে বলেন, ‘বালাসাহেব বলেছিলেন তিনি প্রয়োজন পড়লে দম বন্ধ করে দেবেন, তবুও কংগ্রেসের সঙ্গে মিলিত হবেন না। আর আপনি (উদ্ধব ঠাকরে) সেই কাজটাই করলেন বালা সাহেবের বিরুদ্ধে গিয়ে। এটা শুধু বালা সাহেবকে অপমান নয়। একইসঙ্গে সাধারণ শিব সৈনিকদেরও অপমান, যারা এতো বছর ধরে দলের জন্য পরিশ্রম করেছেন।’
এখানেই শেষ নয়, হিন্দুত্ব প্রসঙ্গে উদ্ধবকে আক্রমণ করেন একনাথ। তিনি বলেন, ‘আপনি তো হিন্দুত্ব নিয়ে কথা বলবেনই না…যখন সাভারকরের বিরোধিতা করছিলেন সবাই, তখন আপনি কিছু করেননি। সাভারকর আমাদের কাছে ভগবান সম, আমরা ওনার নাম গর্বের সঙ্গে অলি। কিন্তু কংগ্রেসের কারণে আমাদের চুপ থাকতে বলা হত।’
এদিকে, উদ্ধব ঠাকরে একান্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে মশকরা করেন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আফজল খান বলে কটাক্ষ করেন বলেও অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ। তাঁর কথায়। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করে বালা সাহেব ঠাকরের স্বপ্ন পূরণ করেছেন। এ প্রসঙ্গে একনাথ শিন্ডে বলেন, ‘৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করে, অযোধ্যায় রাম মন্দির গঠন করে বালা সাহেব ঠাকরের স্বপ্নই পূরণ করছেন মোদী ও শাহ।’ দল ভেঙে বেরিয়ে আসার ব্যাপারেও মুখ খোলেন একদা উদ্ধব ঠাকরের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী। তিনি বলেন, ‘আমরা কী এই সিদ্ধান্ত খুশি মনে নিয়েছি? আমরাও এই সিদ্ধান্তে দুঃখিত। কিন্তু বিগত আড়াই বছর ধরে আমরা সহ্য করছিলাম। কিছু একটা করতেই হত আমাদের। সেই কারণেই আমরা জুন মাসে ঠাকরে শিবিরের থেকে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ৩৩টি দেশ গুগল করে দেখছিল যে আমরা কী করছি।’
আপনার মতামত লিখুন :