1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

এবার ভারতেও হানা দিল মাঙ্কিপক্স! দেশে প্রথম আক্রান্তের হদিশ মিলল এই রাজ্যে

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২২, ১১:০৮ পিএম

এবার ভারতেও হানা দিল মাঙ্কিপক্স! দেশে প্রথম আক্রান্তের হদিশ মিলল এই রাজ্যে
এবার ভারতেও হানা দিল মাঙ্কিপক্স! দেশে প্রথম আক্রান্তের হদিশ মিলল এই রাজ্যে / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশে ফের নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। ঝড়ের গতিতে বাড়ছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে এবার চিন্তা আরও বাড়িয়ে ভারতেও হানা দিল মাঙ্কি পক্স। প্রথম আক্রান্তের হদিশ মিলল দক্ষিণের রাজ্য কেরালায়।

সংযুক্ত আরব আমিরশাহির এক পর্যটকের শরীরে ধরা পড়ল এই রোগের জীবাণু। ওই ব্যক্তির শরীরে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল। তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়। এরপর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। 

এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি বিদেশ থেকে ফিরেছিলেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে ভর্তি। কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, ওই ব্যক্তির মধ্যে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। জানা যাচ্ছে, তিনি ইউএই থেকে কেরালায় পৌঁছন ১২ জুলাই। কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানাচ্ছেন, ত্রিবান্দ্রম বিমানবন্দর থেকে হু-এর দেওয়া যাবতীয় নির্দেশিকা মেনেই তাঁকে নিয়ে আসা হয়। সেক্ষেত্রে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেকটাই কম। যদিও করোনার মতোই সংক্রামক মাঙ্কিপক্সও। উল্লেখ্য, এই রোগে আক্রান্ত হলে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে জ্বর, গায়ে ফুসকুড়ির মতো উপসর্গ দেখা যায়।

একের করোনার আতঙ্ক, তার উপর দোসর মাঙ্কি পক্স। নতুন করে আশঙ্কার কালো মেঘ তৈরি করেছে এই মাঙ্কি পক্স। ইতিমধ্যেই ৫৮ টি দেশে ৩৪১৭ টি নিশ্চিত মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য নেটওয়ার্ক ঘোষণা করেছে, তারা বর্তমানে মাঙ্কিপক্সের এই প্রাদুর্ভাবকে মহামারি ঘোষণা করছে। ইতিমধ্যেই একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই মাঙ্কি পক্স। 

উল্লেখ্য, ৭ মে ইংল্যান্ডে প্রথম ধরা পড়ে এই মাঙ্কিপক্স। এরপর তা ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৫৮ সালে প্রথম মাঙ্কি পক্সের ভাইরাসের হদিশ মিলেছিল। এটি আসলে পশুবাহিত রোগ। 

হু-র পক্ষ চলা মাঙ্কিপক্স নিয়ে গবেষণার নেতৃত্বে থাকা মারিয়া ভ্যান কেরখোভ এর আগে জানিয়েছিলেন, প্রাথমিকভাবে এই রোগ শনাক্ত করে আক্রান্তদের নিভৃতবাসে পাঠানোটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। এক জন অন্য জনের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এলে, বিশেষ করে ত্বকের সংস্পর্শে এলে, তবেই এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। তাই নিভৃতবাসই এই রোগের ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে পারে।

এই রোগের উপসর্গগুলি হল, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, পেশিতে ব্যথা, হাত-পায়ে ব্যথার মতো কিছু প্রাথমিক উপসর্গ মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে দেখতে পাওয়া যায়। এ ছাড়াও মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হলে শরীরের বিভিন্ন লসিকা গ্রন্থি ফুলে ওঠে। ফোস্কার মতো অসংখ্য ক্ষতচিহ্নের দেখা মেলে শরীরে।

আরও পড়ুন