বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মাঙ্কিপক্সের চোখ রাঙানি অব্যাহত। বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা। নতুন আরও এক ব্যক্তির শরীরে মিলল এই ভাইরাসের সংক্রমণ। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশের মধ্যে শুধু দক্ষিণের রাজ্য কেরালাতেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫। আর গোটা দেশে মোট মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের সংখ্যা এই নিয়ে হল ৭ জন। গতকালই দিল্লিতে এক নাইজেরিয়ান ব্যক্তির শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ মেলে।
কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন যে, ৩০ বছরের এক যুবকের শরীরে নিলেছে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ। তিনি গত ২৭ জুলাই সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন বলে জানা গিয়েছে। কোঝিকোড় বিমানবন্দরে তাঁকে পরীক্ষাও করা হয় বলে খবর। জানা গিয়েছে এই মুহূর্তে তাঁর চিকিৎসা চলছে মালাপ্পুরমে।
উল্লেখ্য, দেশের মধ্যে প্রথম দক্ষিণের এই রাজ্যে হদিশ মিলেছিল মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের। ওই ব্যক্তি বিদেশ ফেরত ছিলেন। এরপর এক এক করে এই রাজ্যে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। আরও ৪ টি কেস ধরা পড়ে। এর মধ্যে ইউএই ফেরত মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত তরুণের মৃত্যুর জেরে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। সাততাড়াতাড়ি ওই তরুণ পরিবারের সঙ্গে সঙ্গে আর যাঁদের যাঁদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তি ফুটবলও খেলেছিলেন। তাঁর প্রিয়জনদের এই মুহূর্তে হাইরিস্ক ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন যে, মাঙ্কিপক্সেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। দশ দিন আগেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে থাকাকালীনই ওই যুবকের শরীরে থাবা বসিয়েছিল মাঙ্কিপক্স। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, সেই তথ্য গোপন করেই দেশে ফিরেছিলেন ওই যুবক। এরপর তাঁর শরীরে একাধিক উপসর্গ দেখা দেওয়ায়, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যুবকের শরীর থেকে নমুনা নিয়ে আলাপ্পুজহার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়। কিন্তু, সেই টেস্টের রিপোর্ট আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রথম মৃত্যুর পরেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই মাঙ্কিপক্স মোকাবিলায় টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে কেন্দ্রের সরকার। জানা গিয়েছে, দেশজুড়ে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়েছে কিনা, তা নির্ধারণে দেশের সেন্টারগুলি কীভাবে কাজ করছে, এই রোগ মোকাবিলায় কতোটা তৈরি দেশ, তা খতিয়ে দেখবে এই টাস্ক ফোর্স। এই টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্ব দেবেন নীতি আয়োগের আধিকারিক ড. ভিকে পল।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বিশ্বের একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস। এই পরিস্থিতিতে প্রথম থেকেই সতর্ক ছিল ভারত। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :