বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। দিল্লির পর এবার দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটক। শিক্ষকের নিষ্ঠুরতার রীতিমতো স্তম্ভিত অভিভাবকরা। দিল্লিতে এক শিক্ষিকা এক পড়ুয়াকে তাড়া করে একতলার ব্যালকনি থেকে ধাক্কা দিয়েছিলেন। এবার সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই উত্তর কর্ণাটকের এক স্কুলে একই ঘটনা ঘটালেন এক শিক্ষক।
হাগলি নামে এক গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের মুথাপ্পা নামে এক শিক্ষক বছর দশেকের এক পড়ুয়াকে প্রথমে বেধড়ক মারধর করেন, এখানেই শেষ নয়, এরপর দোতলা থেকে ঠেলে ফেলেও দেন ওই পড়ুয়াকে। এর জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই পড়ুয়ার।
গদক জেলার পুলিশ আধিকারিক শিবপ্রকাশ দেবরাজু সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন যে, কেন ওই শিক্ষক এমন ভয়ঙ্কর কাণ্ড করলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে, গোটা বিষয়টি একটি পারিবারিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে। মুথাপ্পা শুধু ভরত নামের ওই পড়ুয়াকেই বেধড়ক মারধরই করেননি, হাতের কাছে পেয়ে মারধর করেছে তার মাকেও। ওই পড়ুয়ার মাও ওই একই স্কুলের শিক্ষিকা। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুক্রবার প্রায় একই ধরনের ঘটনা ঘটে দিল্লির কারোলবাগের ফিল্মিস্তানের মডেল বস্তির প্রাইমারি স্কুলে। সকাল ১১ টার কিছু সময় পরে বন্দনা নামে ক্লাস ফাইভের এক শিশুকে কাঁচি হাতে তাড়া শিক্ষিকা গীতা দেশওয়াল। কেন তিনি শাসন করতে গিয়ে ওই পড়ুয়াকে তাড়া করলেন তা স্পষ্ট নয়। তবে, কোনও কারণের জন্য ক্ষুব্ধ ওই শিক্ষিকা বন্দনাকে স্কুল ভবনের দোতলার ব্যালকনি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে শিক্ষিকা গীতার বিরুদ্ধে।
এদিকে, স্কুলেরই অন্য এক শিক্ষিকা রিয়া পুলিশে জানিয়েছেন যে, গীতা যখন কাঁচি নিয়ে বন্দনাকে তাড়া করেছিলেন, সেইসময় তাঁকে বহুভাবে নিরস্ত করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাঁকে থামানো যায়নি। এদিকে, ঘটনার পর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। শিশুটি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ ওই অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :