বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যে ক্রমশ মহিলাদের উপর নির্যাতনের হার বেড়েই চলেছে। অথচ এই বিষয়ে নিশ্চুপ খোদ মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এমনটাই অভিযোগে সরব হয়েছেন বিরোধীরা, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই। এদিকে, এই পরিস্থিতিতে খোদ মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বিতর্ক বাড়িয়ে দিলেন। ঝাড়খণ্ডের দুমকায় এক আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বললেন, ‘এমন ঘটনা তো ঘটতেই থাকে।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোরে ঝাড়খণ্ডের দুমকায় এক আদিবাসী কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই কিশোরীকে। এরপরই আত্মহত্যা প্রমাণের জন্য তাঁর দেহ গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, এও বলা হয় যে, কিশোরীর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে রবিবার মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জবাবে বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা তো ঘটেই। সব জায়গাতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে। আগে থেকে বলে কয়ে তো কোনও ঘটনা ঘটে না। শুধু এই ঘটনাতেই তাহলে নজর দেওয়া হচ্ছে কেন?’
এদিকে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। ন্যাশনাল ফেডেরেশন অব ইন্ডিয়ান ওমেনের সাধারণ সচিব অ্যানি রাজা বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা ঝাড়খণ্ডে আগেও ঘটেছে। কিন্তু উনি (হেমন্ত সোরেন) এখনও কেন মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসে রয়েছেন? আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। আমাদের দেশে এই ধরনের অপরাধ রোখার জন্য একাধিক আইন রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ওনার উচিত সেই আইনগুলি কার্যকর করা।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভোরে স্থানীয়রাই প্রথমে ওই কিশোরীর দেহ দেখতে পান প্রথমে। স্থানীয় এক যুবকই তাকে ধর্ষণ করে খুন করে বলেই অভিযোগ। ইতিমধ্যেই পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, নির্যাতিত এবং মৃত ওই কিশোরীর সঙ্গে অভিযুক্ত যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এমনকি তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়। এর জেরে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়লে, যুবককে বিয়ে করার কথা বলে সে। কিন্তু অভিযুক্ত বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এরপরই ওই যুবক কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করে। এদিকে, পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :