বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশের করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ক্রমশ কমছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিন একটু একটু করে আক্রান্তের সংখ্যা কমার সঙ্গে সঙ্গে কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। পাশাপাশি নিম্নমুখী পজিটিভিটি রেটও। লকডাউন, কড়া বিধিনিষেধ, টিকাকরণে জোরের মধ্যে দিয়ে আবার ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে ভারত। কিন্তু, গত কয়েকদিন একটু একটু করে ফের বাড়ছিল আক্রান্তের সংখ্যা। তবে, ফের করোনা গ্রাফে উন্নতি দেখা দেয়। এই মুহূর্তে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজারের নিচেই রয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যাও। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, মৃত্যুর সংখ্যায় ওঠানামা অব্যাহত রয়েছে।
এই মুহূর্তে দেশের করোনা গ্রাফ স্বস্তিজনক জায়গায় রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৬১ জন। যা গতকালের তুলনায় ১৫ শতাংশ কম। গতকাল দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৭৫ জন। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন পর দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজারের নিচে নামল। যা নিঃসন্দেহে বড় স্বস্তির খবর। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃতের সংখ্যান বেড়েছে একলাফে অনেকটাই। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১২৭ জনের। গতকাল করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ৭১ জনের। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ১৬ হাজার ৪৭৯ জনের।
এই মুহূর্তে যে সংখ্যাটা সরকারকে সবচেয়ে স্বস্তি দিচ্ছে সেটা হল অ্যাকটিভ কেস। অ্যাকটিভ কেস আগের মতোই নিম্নমুখী। এই নিয়ে পরপর বেশ কিছু সময় ধরেই কমছে দেশের চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টাতেও স্বস্তি দিয়ে কমছে অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২৬ হাজার ২৪০। অ্যাকটিভ কেসের হার কমে দাঁড়িয়েছে ০.০৬ শতাংশে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৯৬ জন। দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা বেশি। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনাকে পরাস্ত করে সুস্থ হয়ে ঘোরে ফিরেছেন ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ১২২ জন।
এদিকে, বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত লক্ষ করা গেছে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য চিন। তবে, ICMR অবশ্য বলছে যে, এতে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। অন্য দেশে সংক্রমণ বাড়ছে মানেই যে ভারতেও, নতুন করে সংক্রমণ বাড়বে, তেমন কোনও কারণ নেই। যদিও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে, এখনও ICMR সমস্ত করোনাবিধি মেনে চলার উপরই গুরুত্ব আরোপ করছে।
করোনার মোকাবিলায় এখনও চলছে টিকাকরণ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ১৮১ কোটি ২১ লক্ষের বেশি করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকা দেওয়ার কাজ চলছে পাশাপাশি চলছে দেশের প্রবীণ নাগরিকদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজও। দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ১২-১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ কর্মসূচি। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এও জানিয়েছেন যে, ষাটোর্ধ্বদের জন্য ‘প্রিকশন ডোজ’ অর্থাৎ বুস্টার ডোজে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এতদিন পর্যন্ত ষাটোর্ধ্ব যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদেরই একমাত্র করোনা টিকার ‘বুস্টার’ ডোজ দেওয়া হচ্ছিল। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের আসায় খুলেছে ছোটদের স্কুলও। করোনার গ্রাফ বলছে ধীরে ধরে সুস্থতার পথেই এগোচ্ছে দেশ। তাও বিশেষজ্ঞরা এখনও করোনাবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :