1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

‘সমস্ত মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার প্রয়োজন কী’? প্রশ্ন RSS প্রধান মোহন ভাগবতের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২২, ১১:০৭ এএম

‘সমস্ত মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার প্রয়োজন কী’? প্রশ্ন RSS প্রধান মোহন ভাগবতের
‘সমস্ত মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার প্রয়োজন কী’? প্রশ্ন RSS প্রধান মোহন ভাগবতের

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে মন্দির-মসজিদ নিয়ে হয়ে চলা বিতর্কে মুখ খুললেন রাষ্ট্রীয় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত। মুখ খুলেই সম্পূর্ণ উল্টো সুরে কথা বললেন RSS প্রধান। 

বৃহস্পতিবার নাগপুরে আরএসএসের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় তিনি প্রশ্ন তোলেন যে, ‘সমস্ত মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার প্রয়োজন কী? রোজ রোজ নতুন করে বিতর্ক তোলা উচিত নয়। জ্ঞানবাপী নিয়ে আমাদের আলাদা ভক্তি থাকতেই পারে, তাই বলে সমস্ত মসজিদে শিবলিঙ্গের অস্তিত্ব খুঁজে বেরিয়ে, জিগির তোলা উচিত নয়।’ মানুষের প্রতি তাঁর পরামর্শ , আদালতের রায় মেনে চলুন। সংঘ প্রধানের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই আলোচনা তুঙ্গে। মোহন ভাগবতের এই মন্তব্যে দেশে মসজিদ সরিয়ে মন্দির এবং মূর্তি উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়া উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের উৎসাহ-উদ্দীপনায় যে বড় ধাক্কা লাগবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। 

একাংশের হিন্দু ধর্মমতে কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজো হত। এই দাবিতেই তার প্রমাণ খুঁজতে নেমে পড়েছিলেন হিন্দুদের একাংশ। এরপর জল আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ২০২১ সালের আগস্ট মাসে ৫ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (যা ওজুখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের ভেতরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি তুলে তা পুজোর অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী আদালতে। সেই মামলার কারণেই মে মাসে বারাণসী আদালতের নির্দেশ অনুসারে এই মসজিদের ভিতরে শুরু হয়েছিল ভিডিও সার্ভে। এরপর দাবি করা হয় যে, ভিতরে রয়েছে শিবলিঙ্গ। এ বিষয়ে দেশের শীর্ষ আদালত জানায় যে, আপাতত সিল থাকবে মসজিদের ওজুখানা। পাশাপাশি এও বলা হয় যে, যারা নমাজ পড়তে আসবেন, তাঁদের জন্য অন্য ব্যবস্থা করে দিতে হবে। 

এরপর এ সবের মাঝেই গতকাল সংঘ প্রধান উপরিউক্ত মন্তব্য করেছেন। এর থেকে স্পষ্ট যে, মসজিদ চত্বর খুঁড়ে শিবলিঙ্গের অস্তিত্ব প্রমাণের এই যে অতি সক্রিয়তা তা তিনি মোটেও ভালোভাবে নিচ্ছেন না। এই প্রসঙ্গে তিনি রাম মন্দিরের প্রসঙ্গ তুলে বলেন যে, ‘ইতিহাসের সাক্ষী অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা করা আমাদের লক্ষ্য ছিল। সেই লক্ষ্যে আন্দোলন গড়ে তুলে আমরা সফল হয়েছি। আর কোনও আন্দোলন চাই না।’

এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন যে, ‘ইতিহাস পাল্টানো যায় না। মনে রাখতে হবে, আজকের কোনও হিন্দু বা মুসলিম তা রচনা করেনি। বহু বহু যুগ আগে তা তৈরি হয়েছিল। বহিরাগতদের এ দেশ আক্রমণের মাধ্যমে ইসলাম প্রবেশ করেছিল। শুধু হিন্দুই নয়, স্বাধীনতাকামীদের মনোবল ভাঙতে উপাস্য দেবতাদের মূর্তি, মন্দির ধ্বংস করা হয়েছিল।’ অনেকেই সংঘ প্রধানের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন