বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এককথায় ভয়ঙ্কর ঘটনা। যা শুনলে রীতিমতো চমকে উঠতে হয়। মাত্র ১৩ বছরের এক স্কুল পড়ুয়াকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে, তার দেহ টুকরো করে ফেলল তার বয়সী ও কিছুটা বড় একদল ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের ভোজপুরে। সোমবারই রেললাইনের ধার থেকে ওই ছাত্রের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রেল লাইনের পাশ থেকে ওই নাবালক স্কুল ছাত্রের টুকরো করা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় নিহত দয়া কুমার উদান্তনগর থানা এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার বীভৎসতায় চমকে উঠেছে নিহত স্কুল ছাত্রের পরিবার ও অন্যান্যরা। গত সপ্তাহেই ঘটছে ঘটনাটি। পুলিশ ও গ্রামের লোকজন নিহত ছাত্রের দেহাংশ খুঁজে বের করে।
কিন্তু কেন এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড? কারণ জানলে যেকোনো সুস্থ মানুষ শিউরে উঠবে। পুলিশ সূত্রের খবর, ক্লাস সিক্সের ওই পড়ুয়া তার ক্লাস সিক্সে পাঠরত দিদির সঙ্গে গিয়েছিল তার স্কুলে। দিদির হাফ ইয়ারলি পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা কেন্দ্রে দিদি ঢুকে যাওয়ার পর সে বাইরে অপেক্ষা করছিল। এরপর সুযোগ বুঝে, দিদিকে সাহায্য করতে দিদির জন্য একটি টুকলি জানলা দিয়ে ভেতরে ছুঁড়ে দেয় সে। কিন্তু সেই টুকলি দিদির কাছে না গিয়ে অন্য এক ছাত্রীর গায়ে পড়ে। আর ওই ছাত্রী সেই টুকলিকে প্রেমপত্র ভেবে ভুল করে। ওই ছাত্রীর এই ভুল ধারণাই পরে বড় বিপত্তি ডেকে আনে।
পরীক্ষার শেষে গোটা ওই ছাত্রী তার ভাইদের খুলে বলে। তার পরেই সেই ভাইরা গিয়েই ১৩ বছরের স্কুল পড়ুয়া ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করে। সেই মারের চোটে মৃত্যু হয় ওই নাবালকের। কিন্তু তার পরেও থেমে যায়নি অভিযুক্তরা। ওই স্কুল ছাত্রের দেহ টুকরো করে কেটে রেললাইনের পাশে ফেল দেয় তারা।
এদিকে, ওই নাবালকের ক্লাস সিক্সের ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরে ভাইকে মারধরের ঘটনা সকলকে খুলে বলে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির লোকজন তাঁদের ছেলেকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়ে। পাশাপাশি পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়। এরপর সোমবার নিহত ছেলেটির একটি হাত পাওয়া যায় এলাকার একটি মন্দিরের পাশ থেকে। পুলিশকেও জানানো হয়।
এরপর জেলা পুলিশ সুপার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, খবর পেয়েই পুলিশ কুকুর নিয়ে তল্লাশি শুরু হয়। এরপর এক এক করে নিহত ছাত্রটির বাকি দেহের অংশও উদ্ধার হয়। এর পাশাপাশি পোশাক এখে চিহ্নিত করা হয় ওই ১৩ বছরের ছেলেটিকে। ধৃতদের মধ্যে ৪ জন নাবালক, তাদের জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে। প্রাপ্ত বয়স্কদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গজরাজগঞ্জ আউটপোস্ট ইনচার্জ চন্দন কুমার বুধবার এক সংবাদমাধ্যমে এই খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘পরীক্ষা শুরু হতে দিদিকে সাহায্য করার উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁর দিকে টুকলিপত্র ছুড়ে দিয়ে নিহত নাবালক। কিন্তু ভুলবশত সেটি স্কুলের অন্য আরেক ছাত্রীর বেঞ্চের সামনে গিয়ে পড়েছিল এবং সেই মেয়েটিকে কাগজের টুকরোটিকে প্রেমপত্র ভেবে ভুল করে এবং নিজের ভাইদের ঘটনার কথা জানায়।’
আপনার মতামত লিখুন :