বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কাজের সূত্রে বেশিরভাগ সময়ই বাড়ির বাইরে কাটাতে হয়। বাড়িতে একাই থাকেন স্ত্রী। এদিকে, স্ত্রীকে ফোন করলে অধিকাংশ সময়ই তাঁকে পাওয়া যায় না। অন্য কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলে সবসময়। এর থেকেই মনে সন্দেহ দানা বেঁধেছিল তখন থেকেই। কিন্তু এই বিষয়ে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোনও সদুত্তর মেলেনি। শেষে রাগের মাথায় ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটালেন স্বামী।
রাগের বশে স্ত্রীকে খুন করে ফেললেন স্বামী। এরপর স্ত্রীর দেহ লোপাট করতে পাশের ঝোপে ফেলেও দেন। কিন্তু তারপর থেকে মনে শান্তি মিলছিল না। তাই সোজা থানায় গিয়ে পুলিশকর্তার সামনে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেন। বলেন, “চলুন আমি দেখাচ্ছি কোথায় স্ত্রী রয়েছে…”। এই ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লি সংলগ্ন উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে। ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তিকে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাজিয়াবাদের ট্রনিকা সিটি থেকে এক ২৮ বছর বয়সী যুবতীর দেহ উদ্ধার করা হয় বৃহস্পতিবার। ওই যুবতীর স্বামীই খুনের দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, স্ত্রীকে খুনের পর অপরাধবোধ কাজ করছিল মনে, কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছিলেন না। তাই তিনি পুলিশের সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্টের কাছে যান এবং সেখানে গিয়ে জানান স্ত্রীকে খুনের কথা। শুধু তাই নয়, কোথায় স্ত্রীর দেহ ফেলে দিয়েছেন, সঙ্গে গেলে তাও দেখিয়ে দেবেন বলেও জানান।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সাদ্দাম। তিনি থানায় পৌঁছে বলেন, ‘আমি আমার স্ত্রীকে খুন করেছি। আমার সঙ্গে আসুন, দেখাচ্ছি দেহ কোথায় রাখা আছে।’ পুলিশ সবটা শোনার পর পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে যান এবং অভিযুক্তের দেখানো একটি ফাঁকা স্থান থেকে যুবতীর দেহ উদ্ধার করেন। পুলিশি জেরায় জানা গিয়েছে, সাদ্দাম তাঁর স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন। তাঁর অবর্তমানে স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়েছেন বলেই সন্দেহ ছিল তাঁর। এই বিষয় নিয়ে একাধিকবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তিও হয়। কিন্তু কখনওই নিজের অভিযোগের বা সন্দেহের সাপেক্ষে কোনও প্রমাণ পাননি সাদ্দাম।
ঘটনার দিন, বৃহস্পতিবারও একই ঘটনা ঘটে। একই বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা হয়। তবে, এবার আর বচসা না করে সাদ্দাম তাঁর স্ত্রীকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার অছিলায় বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়। তারপর ট্রনিকা শহরের শেষ প্রান্তে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে, পিছন থেকে স্ত্রীর মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে তাঁকে খুন করেন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর তাঁর দেহ পাশের একটি ঝোপে ফেলে দেন।
দেহ ওখানেই ফেলে বাড়ি চলে আসছিলেন, কিন্তু মাঝপথেই নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন অভিযুক্ত সাদ্দাম। অপরাধবোধে বিদ্ধ হতে থাকেন। তাই সোজা হাজির হন এসএসপির অফিসে। সেখানে গিয়ে সমস্ত অপরাধের কথা স্বীকার করে নেন তিনি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি এই খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত বা কারও মদত ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :