বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ জিএসটির বৃদ্ধি এবং এর জেরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ায় ক্ষোভ বাড়ছে দেশজুড়ে। খোদ বিজেপি নেতা বরুণ গান্ধী থেকে শুরু করে বিরোধীরাও জিএসটি বৃদ্ধি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ শানিয়েছে। ১৮ জুলাই থেকেই দুধ, দই, মাখন, চাল, ডাল পাউরুটি- সহ প্যাকেটজাত পণ্য জিএসটির আওতায় এল। ৫ শতাংশ জিএসটি যুক্ত হয়ায়র কারণে দামি হল একাধিক নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। ৪৭ তম জিএসটি কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্যাকেটজাত দুধ, দই, লস্যি, পনিরের উপরে ৫ শতাংশ জিএসটি বেড়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ বিরোধীরা। বিক্ষোভে উত্তাল সংসদ।
এই পরিস্থিতিতে জিএসটি থেকে যে পণ্যগুলো ছাড় পাচ্ছে, সেইসব পণ্যের তালিকা এদিন প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই তালিকার বেশিরভাগই খাদ্যবস্তু। সেগুলি প্যাকেটজাত নয় বা খোলা বিক্রি হয়। অর্থাৎ এই ধরনের পণ্য বিক্রির আগে বা পরে প্যাকেটজাত করা হয় না। এই নির্দিষ্ট পণ্যগুলো খোলা বিক্রি হলে, তাতে জিএসটি ধার্য হবে না বলেই জানিয়েছে সীতারামন।
এবার জেনে নেওয়া যাক এই তালিকায় কোন কোন পণ্য রয়েছে। তালিকায় আছে ডাল, গম, ওটস, ভুট্টা, চাল, আটা, ময়দা, সুজি, রাই, বেসন, দই এবং লস্যির মতো কিছু খাদ্যপণ্য। এদিকে, এই ঘোষণার আগে জিএসটির হার এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে লোকসভার কাজ। এরই প্রেক্ষিতে ধারাবাহিক টুইট করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। গতকাল থেকেই কার্যকর হয়েছে জিএসটির নতুন বর্ধিত হার।
সেই টুইটে সীতারামন খাদ্যদ্রব্যের ওপর ৫ শতাংশ জিএসটি বৃদ্ধির পক্ষেই সওয়াল করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত তাঁর একার নয়। জিএসটি কাউন্সিলই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত মাসে, ২৮ জুন মন্ত্রিগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়, জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে সব রাজ্যের প্রতিনিধিরাই উপস্থিত ছিলেন, এমনটাই জানিয়েছেন সীতারামন।
অন্যদিকে, বিরোধীদের ক্ষোভের কারণ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রথমবার এই জাতীয় খাদ্য সামগ্রীর ওপর কর দেওয়া হচ্ছে না। প্রি-জিএসটি আমলে রাজ্যগুলো খাদ্যশস্য থেকে উল্লেখযোগ্য রাজস্ব সংগ্রহ করছিল। পাঞ্জাব একাই ক্রয় করের মাধ্যমে খাদ্যশস্যের ওপর ২,০০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। আবার উত্তরপ্রদেশ এভাবেই ৭০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল।’
এখানেই শেষ নয়, নির্মলা সীতারামন এও জানান যে, ‘যখন জিএসটি চালু হয়েছিল, সেই সময় ব্র্যান্ডেড ডাল, ময়দার ওপর ৫ শতাংশ জিএসটি বসেছিল। এরপরে এই ধরনের পণ্যের জিএসটির হার শুধুমাত্র সংশোধিত করা হয়েছে।’ এখানেই শেষ নয়, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন যে, খাদ্যপণ্যে জিএসটি ছাড়ের সুযোগ নিয়েছে দেশের বড় ব্যবসায়ীরা। দেশের বিভিন্ন নামী সংস্থা তাঁদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে সুযোগ নেওয়ায়, বহু খাদ্যপণ্য থেকে সরকারের জিএসটি পাওয়ার সম্ভাবনা সাংঘাতিকভাবে কমে গিয়েছে।
সীতারামনের অভিযোগ, খাদ্যপণ্যে জিএসটি ছাড়ের সুযোগ নিয়েছে বড় ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন নামী সংস্থা ক্ষমতার অপব্যবহার করে সুযোগ নেওয়ায়, বহু খাদ্যপণ্য থেকে সরকারের জিএসটি পাওয়ার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :