বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সাম্প্রতিকে ভূস্বর্গে একের পর এক কাশ্মীরি পণ্ডিত জঙ্গি হামলার শিকার হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি আবারও সেই নয়ের দশকের ভয়াবহ পরিস্থিতি ফিরতে চলেছে উপত্যকায়? তবে, নিরাপত্তা বাহিনীও নাশকতামূলক কার্যকলাপ বন্ধে বদ্ধপরিকর। তাই জারি রয়েছে জঙ্গিদমন অভিযান। নিরাপত্তাবাহিনীর এই জঙ্গিদমন অভিযানে সাফল্যও মিলেছে। বহু কুখ্যাত জঙ্গিকে খতম করা সম্ভব হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে শুরু হওয়া এক এনকাউন্টারে এক পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী-সহ দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে।
এই এনকাউন্টার প্রসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের আইজিপি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, এদিন খুব ভোরে কুপওয়ারা জেলায় চকতারাস কান্দি এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলির লড়াই শুরু হয়। সেনা, আধাসেনা, জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের লড়াই শুরু হয়। বেশ কিছু সময় ধরে এই গুলির লড়াই চলার পর এক পাকিস্তানি জঙ্গি-সহ দুই জেহাদির মৃত্যু হয়। পাকিস্তানি জঙ্গির নাম তুফাইল। জানা গিয়েছে, মৃত জঙ্গিরা পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার সদস্য। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, গোটা এলাকা ঘিরে রেখে, তল্লাশি অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, এই নিয়ে বিগত মাসে ১০ জঙ্গিকে শেষ করল নিরাপত্তাবাহিনী। কিন্তু তারপরেও ভূস্বর্গে জঙ্গি কার্যকলাপ লেগেই রয়েছে। জঙ্গিরা বারবার নিশানা করছে কাশ্মীরি পণ্ডিত, সরকারি কর্মচারীদের। এক মাসের মধ্যে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে এক শিক্ষিকা-সহ দুই কাশ্মীরি পণ্ডিতের। আবার সম্প্রতি রাজস্থানের বাসিন্দা এক অ-মুসলিম ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকেও খুন করা হয়।
প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরকে সন্ত্রাসবাদীদের কবল থেকে মুক্ত করতে ক্রমাগত অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। এদিন পাকিস্তানি জঙ্গিকে নিকেশ করে ভূস্বর্গে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যার বদলার বার্তা দিয়েছে সেনাবাহিনী। বিগত কয়েকদিনে জঙ্গিদমন অভিযানে একের পর এক জঙ্গি কমান্ডারদের খতম হয়েছে। গত জুন মাসেই শ্রীনগরে খতম করা হয় লস্কর-ই-তইবার কুখ্যাত জঙ্গি নাদিম আবরারকে।
আপনার মতামত লিখুন :