বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ক্ষমতা ছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠা করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কারগিলের সেনা জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করতে গিয়ে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন কারগিল থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধ হল শেষ রাস্তা। ভারত যুদ্ধ চায় না।’
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “কারগিল এমন একটি জায়গা যে যখনই পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াই হয়েছে তখনই এখানে বিজয় কেতন উড়িয়েছে আমাদের সেনা। গোটা দুনিয়াকে দীপাবলির উৎসবে সামিল করতে চায় ভারত। কারগিলের এই পুণ্যভূমিতে জওয়ানদের মধ্যে থেকে দেশবাসী এবং গোটা বিশ্বকে দীপাবলির শুভকামনা জানাই। গোটা বিশ্বে শান্তি বিরাজ করুক। এটা আমাদের কামনা। দীপাবলির অর্থ সন্ত্রাস দমনের পর উৎসব। আমাদের দেশ কেবল এক ভৌগলিক ভূখণ্ডই শুধু নয়। এক জীবন্ত ‘বিভূতি’। একটি চেতনা। যখন আমরা ভারতের কথা বলি তখন আমাদের মনে এক সাংস্কৃতির কথা মনে করিয়ে দেয়। দেশ সুরক্ষিত তখনই হয় যখন সীমান্ত সুরক্ষিত থাকে, অর্থীনীতি চাঙ্গা থাকে, সমাজে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর থাকে।”
উল্লেখ্য গতকালই অযোধ্যায় দীপোৎসবে অংশ নেওয়ার পর আজ কারগিলে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কারগিলে মোদী তার ভাষণে বলেন, ‘সেনাবাহিনী আমাদের পরিবারের মতো তাই জওয়ানদের সঙ্গেই তা কাটাতে ভালোবাসি।’
অন্যদিকে, দেশে সন্ত্রাস বিরোধী লড়াইয়ের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রাস, কারগিল ও বাটালিকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহস দেখিয়েছে আমাদের সেনা। কারগিলে আমাদের সেনা সন্ত্রাসকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। সেই ঘটনার সাক্ষী আমি। গোটা দুনিয়া এখন আমাদের দেশকে সম্মান করে। দেশের সীমান্ত রক্ষার প্রশ্ন অত্যন্ত কড়া আমাদের সেনাবাহিনী। কেউ যদি আমাদের চ্য়ালেঞ্জ করে তাহলে আমাদের সেনা জানে কীভাবে তার জবাব দিতে হয়।’ উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সেনাঘাঁটিতে দীপাবলি উৎসব পালন করেন নরেন্দ্র মোদী। কখনও সেই উৎসব সেনার সঙ্গে, কখনও তা বায়ু সেনার সঙ্গে। আবার কখনও তা নৌবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে পালন করে থাকেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়াও দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ দেশ দুর্নীতির সঙ্গে লড়াই করছে। দুর্নীতি পরায়ন মানুষ যতই শক্তিশালী হোক না কেন তিনি পালাতে পারবেন না। সরকার চালানোর ক্ষেত্রে দুর্নীতি দেশের উন্নয়নের পথে বড় বাধা। তার বিরুদ্ধেই লড়াই করছে সরকার।’
আপনার মতামত লিখুন :