প্রেমিকাকে নৃশংস খুন! দেহের ৩৫ টুকরো করে ১৮ দিন ধরে দেহাংশ ছড়িয়ে গ্রেপ্তার যুবক

প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন! তার পর দেহ কুচি কুচি করে কেটে সারা দিল্লি শহর জুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ। শিউরে ওঠার মতো ঘটনা রাজধানী দিল্লতে (Delhi)। লিভ ইন পার্টনারকে অপহরণের অভিযোগে ধৃত যুবককে জেরা চমকে ওঠার মতো তথ্য পুলিশের হাতে।

দিনের পর দিন মেয়ের খোঁজ নেই। ফোন নেই। শেষপর্যন্ত গত ৮ নভেম্বর মেয়ে শ্রদ্ধার খোঁজ নিতে দিল্লি (Delhi) পৌঁছন শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মাদান। মেহেরৌলির ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেন তালাবন্ধ। দিনের পর দিন মেয়ের খোঁজ না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই তরুণীর বাবা। মেহেরৌলি থানায় অপরহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে গত শনিবার শ্রদ্ধার লিভইন পার্টনার আফতাবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরার মুখে শেষ পর্যন্ত ভেঙে পড়ে আফতার।

ধৃত যুবক পুলিশকে জানিয়েছে, লিভ ইন পার্টনারকে খুন করে তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করে ফেলে সে। র পর সেই দেহাংশ রেখে দেয় ফ্রিজে। ১৮ দিন ধরে রাত দুটোর পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দিত! নিহত তরুণীর দেহাংশের খোঁজে এবার তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ!

দিল্লির মেহেরৌলিতে একটি ফ্ল্যাট নিয়ে থাকতেন আফতাব আমিন পুনাওয়ালা এবং শ্রদ্ধা মাদান। পুলিশ জানতে পেরেছে মুম্বইতে (Mumbai) একটি বহুজাতিক সংস্থার কল সেন্টারে কাজ করতে গিয়ে দু‍‍`জনের পরিচয়। সেখান থেকেই প্রেম। তবে, পরিবার থেকে তাঁদের এই সম্পর্ক মেনে নেওয়া হয়নি। এরপরেই দু‍‍`জনে পালিয়ে দিল্লি চলে আসেন এবং সেখানেই একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর ১৮ মে শ্রদ্ধা এবং আফতাবের ঝড়গা হয়। তার জেরেই শ্বাসরোধ করে শ্রদ্ধাকে খুন করে আবতাব।

প্রমাণ লোপাটে এরপর শিউরে ওঠার মতো পদক্ষেপ করে আফতাব। শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে ফেলে সে। কিনে ফেলে একটি নতুন ফ্রিজ। এরপর দেহ সেই ফ্রিজে ভরে রেখে দেয়। এরপর শুরু হয় প্রমাণ লোপাট। পুলিশ জানিয়েছ, ১৮ দিন ধরে নিশুতি রাতে, দিল্লি (Delhi) এবং সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেয় সে। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত যুবক জানিয়েছে তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল শ্রদ্ধা। এই নিয়ে দু‍‍`জনের বিরোধ বাধে। আর সেই বিরোধের জেরেই লিভ ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব। ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।