বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সম্প্রতি ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির। এবার তাঁর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা গিয়েছে। কী বলছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট? জানা গিয়েছে, গাড়ি দুর্ঘটনায় সাইরাস এবং তাঁর বন্ধু জাহাঙ্গির পান্ডলের মৃত্যু হয়েছে প্রধানত মাথায় আঘাত লাগার কারণে। পাথায় আঘাত লাগার পাশাপাশি তাঁদের দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেও গুরুতর আঘাত লেগেছে।
রবিবার মুম্বই-আমেদাবাদ হাইওয়েতে গারি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং তাঁর বন্ধু জাহাঙ্গিরের। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় তাঁরা দুজনেই বিলাসবহুল গাড়ির পিছনের আসনে বসেছিলেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, দুর্ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই সাইরাসের মৃত্যু হয়।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, সাইরাসের মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছিল ওই দুর্ঘটনায়। অত্যাধিক রক্তপাতের কারণেই সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মৃত্যু হয়। মাথার চোটের পাশাপাশি বুকেও আঘাত লেগেছিল বলেই জানা গিয়েছে। কেমিক্যাল পরীক্ষার পর এই ময়নাতদন্তের রিপোর্টকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।
এদিকে, সোমবার মধ্যরাতেই জেজে হাসপাতাল থেকে তাঁদের দেহ পালাগড়ের কাসা সাব ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত আড়াইটের মধ্যে তাঁদের ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাঁদের দেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে এবং মঙ্গলবার শেষকৃত্যের জন্য দেহ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। যদিও এ প্রসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, রবিবার দুপুরে মুম্বই থেকে প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার দূরে, আচমকাই মহারাষ্ট্রের পালঘরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক সেতুর ডিভাইডারে সজোরে ধাক্কা মারে সাইরাসের গাড়ি। ওই গাড়িতে সাইরাস ছাড়াও ছিলেন শিল্পপতি দারিয়াস পান্ডলে, তাঁর স্ত্রী অনাহিতা পান্ডলে ও দারিয়াসের আত্মীয় জাহাঙ্গির পান্ডলে। জানা গিয়েছে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন অনাহিতা। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেল ৩ টে ১৫ মিনিট নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি ঘটেছিল পালঘরের চারোটিতে সূর্য নদীর ওপর এক সেতুতে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালের ৪ জুলাই মুম্বইয়ের শিল্পপতি পালোনজি মিস্ত্রির পরিবারে জন্ম হয় সাইরাস মিস্ত্রির। ১৯৯১ সালে পারবারিক রিয়েল এস্টেট কোম্পানি সাপুরজি পালোনজি লিমিটেডের ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দেন সাইরাস মিস্ত্রি। এরপর ২০১২ সালে রতন টাটা চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে যাওয়ার পরে, ওই বছরের ডিসেম্বরে টাটা সন্সের এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছিলেন সাইরাস। তিনি ছিলেন টাটা গ্রুপের ষষ্ট চেয়ারম্যান। তিনি টাটা গ্রুপের দ্বিতীয় চেয়ারম্যান, যার পদবি টাটা ছিল না। কিন্তু ২০১৬ সালে তাঁকে সেই পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থার বোর্ড অব ডিরেক্টর্স। যা মানতে রাজি ছিলেন না সাইরাস। ২০১৬ সালে টাটা সন্স বোর্ড তাঁকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে নটরাজন চন্দ্রশেখরনকে সেই দায়িত্ব দেয়।
আপনার মতামত লিখুন :