বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশের করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ক্রমশ কমছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিন একটু একটু করে আক্রান্তের সংখ্যা কমার সঙ্গে সঙ্গে কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। পাশাপাশি নিম্নমুখী পজিটিভিটি রেটও। এরপরেও চিন্তায় রেখেছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। কিছুতেই বাগে আসছে না মৃত্যুর সংখ্যা। দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা আগেই নেমেছে এক লক্ষের নিচে। লকডাউন, কড়া বিধিনিষেধ, টিকাকরণে জোরের মধ্যে দিয়ে আবার ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় ফের কমল আক্রান্তের সংখ্যা। তবে, তা এখনও ১ লাখের নিচেই রয়েছে। এদিকে, এখনও মাথাব্যথার কারণ একটাই, তা হল মৃত্যু হার। দৈনিক মৃতের সংখ্যাটা গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে। মারণ ভাইরাস যে এখনও নিজের ক্ষমতা হারায়নি, সেটাই স্পষ্ট। আর এটাই চিন্তায় রেখেছে বিশেষজ্ঞদের।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭ হাজার ৮৪ জন। যা গতকালের তুলনায় খানিকটা বেশি। গতকাল দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭১ হাজার ৩৬৫ জন। নিম্নমুখী দৈনিক পজিটিভিটি রেটও। বর্তমানে দেশের দৈনিক পজিটিভিটি রেট ৪.৪৪ শতাংশ। যা আগের থেকে অনেকটাই চিন্তামুক্ত করছে চিকিৎসকদের। এদিকে, এখনও ভয় ধরাচ্ছে মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টাতেই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ২৪১ জন। যা গতকালের তুলনায় বেশি। গতকাল দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২১৭ জন।
এই মুহূর্তে যে সংখ্যাটা সরকারকে সবচেয়ে স্বস্তি দিচ্ছে সেটা হল অ্যাকটিভ কেস। অ্যাকটিভ কেস আগের মতোই নিম্নমুখী। এই নিয়ে পরপর বেশ কয়েক সপ্তাহ কমল দেশের চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৭ লক্ষ ৯০ হাজার ৭৮৯ জন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার ৩৯ কম। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৮৮২ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ১১ লক্ষ ৮০ হাজার ৭৫১ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৭১ কোটি ২৮ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। সব মিলিয়ে দেশে করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও, অবশ্য এখনই স্বস্তির জায়গা নেই বলেই মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সবরকম সতর্কতা না অবলম্বন করলে, ফের বাড়তে পারে সংক্রমণ।
আপনার মতামত লিখুন :