বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশের করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ক্রমশ কমছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিন একটু একটু করে আক্রান্তের সংখ্যা কমার সঙ্গে সঙ্গে কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। পাশাপাশি নিম্নমুখী পজিটিভিটি রেটও। দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা আগেই নেমেছিল এক লক্ষের নিচে। লকডাউন, কড়া বিধিনিষেধ, টিকাকরণে জোরের মধ্যে দিয়ে আবার ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা নামল ৫০ হাজারের নিচে। করোনার তৃতীয় ঢেউ যে স্তিমিত, তা আগেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন। এবার করোনার পরিসংখ্যানে তা আরও একবার প্রমাণিত হল। পাশাপাশি স্বস্তি দিয়ে কমেছে মৃতের সংখ্যাও। যা বেশ কয়েকদিন ধরেই চিন্তায় রেখেছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং বিশেষজ্ঞদের।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৮৭৭ জন। যা গতকালের তুলনায় খানিকটা বেশি। গতকাল দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার ৪০৭ জন। নিম্নমুখী দৈনিক পজিটিভিটি রেটও। বর্তমানে দেশের দৈনিক পজিটিভিটি রেট ৩.১৭ শতাংশে। যা আগের থেকে অনেকটাই চিন্তামুক্ত করছে চিকিৎসকদের। স্বস্তি দিয়ে কমেছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টাতেই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৮৪ জনের। যা গতকালের তুলনায় কম। গতকাল দেশে মৃত্যু হয়েছিল ৮০৪ জনের। দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৮ হাজার ৬৬৫ জন।
এই মুহূর্তে যে সংখ্যাটা সরকারকে সবচেয়ে স্বস্তি দিচ্ছে সেটা হল অ্যাকটিভ কেস। অ্যাকটিভ কেস আগের মতোই নিম্নমুখী। এই নিয়ে পরপর বেশ কয়েক সপ্তাহ কমল দেশের চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৩৭ হাজার ৪৫ জন। যা আগের দিনের থেকে অনেকটাই কম। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৯১ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ১৫ লক্ষ ৮৫ হাজার ৭১১ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ১৭২ কোটি ৮১ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১৪ লক্ষ ১৫ হাজার ২৭৯ জনের। সব মিলিয়ে দেশে করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও, অবশ্য এখনই স্বস্তির জায়গা নেই বলেই মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সবরকম সতর্কতা না অবলম্বন করলে, ফের বাড়তে পারে সংক্রমণ।
আপনার মতামত লিখুন :