বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশের করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ক্রমশ কমছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিন একটু একটু করে আক্রান্তের সংখ্যা কমার সঙ্গে সঙ্গে কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। পাশাপাশি নিম্নমুখী পজিটিভিটি রেটও। দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা আগেই নেমেছিল এক লক্ষের নিচে। লকডাউন, কড়া বিধিনিষেধ, টিকাকরণে জোরের মধ্যে দিয়ে আবার ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে ভারত। তবে, গত কয়েকদিন একটু একটু করে ফের বাড়ছিল আক্রান্তের সংখ্যা। তবে ফের করোনা গ্রাফে উন্নতি দেখা দেয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ফের কমেছে আক্রান্তের সংখ্যা। পাশাপাশি কমেছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যাও। এই মুহূর্তে করোনা থেকে মুক্তির দিকেই ধীরে ধীরে এগোচ্ছে দেশ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ১৬৬ জন। যা গতকালের তুলনায় সামান্য হলেও কম। গতকাল দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ১৪৮ জন। তবে, পজিটিভিটি রেট সামান্য হলেও বেড়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। এই মুহূর্তে দেশের দৈনিক পজিটিভিটি রেট ১.২৮ শতাংশ। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৩০২ জনের। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডের বলি ৫ লক্ষ ১৩ হাজার ২২৬ জন।
এই মুহূর্তে যে সংখ্যাটা সরকারকে সবচেয়ে স্বস্তি দিচ্ছে সেটা হল অ্যাকটিভ কেস। অ্যাকটিভ কেস আগের মতোই নিম্নমুখী। এই নিয়ে পরপর বেশ কয়েক সপ্তাহ কমল দেশের চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টাতেও স্বস্তি দিয়ে একধাক্কায় অনেকটাই কমছে অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ২৩৫। যা আগের দিনের থেকে অনেকটাই কম। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৯৮৮ জন। দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা অনেকটাই বেশি। যা অবশ্যই আশার আলো দেখাচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২২ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮৮৪ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে সুস্থতার হার ৯৮.৪৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, দেশে এখনও পর্যন্ত দেশে ১৭৬ কোটি ৮৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ২৬৬ জনের করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। সব মিলিয়ে দেশে করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও, অবশ্য এখনই স্বস্তির জায়গা নেই বলেই মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সবরকম সতর্কতা না অবলম্বন করলে, ফের বাড়তে পারে সংক্রমণ। এদিকে, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় সব রাজ্যেই ধীরে ধীরে করোনাবিধি শিথিল করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সুখবর। এবার তৃতীয় দেশিয় ভ্যাকসিন পেল ভারত। কাজেই টিকার ক্ষেত্রে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে গেল দেশ। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য জরুরিভিত্তিতে বায়োলজিকাল ই-এর ভ্যাকসিন কোর্বাভ্যাক্স টিকার প্রাথমিক অনুমোদন মিলেছে দেশে।
আপনার মতামত লিখুন :