বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশের করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ক্রমশ কমছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিন একটু একটু করে আক্রান্তের সংখ্যা কমার সঙ্গে সঙ্গে কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। পাশাপাশি নিম্নমুখী পজিটিভিটি রেটও। লকডাউন, কড়া বিধিনিষেধ, টিকাকরণে জোরের মধ্যে দিয়ে আবার ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে ভারত। তবে, গত কয়েকদিন একটু একটু করে ফের বাড়ছিল আক্রান্তের সংখ্যা। তবে, ফের করোনা গ্রাফে উন্নতি দেখা দেয়। দেশে ১০ হাজারের নিচে নেমে আসে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পাশাপাশি কমেছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় ফের কমল আক্রান্তের সংখ্যা। এই মুহূর্তে দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৪ হাজারের নিচে। পাশাপাশি অনেকটাই কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। সবথেকে বড় স্বস্তির খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১০০-র নিচে নেমেছ মৃত্যুর সংখ্যা। এর থেকেই স্পষ্ট যে, ক্রমশ সুস্থতার পথেই এগোচ্ছে দেশ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩৬২ জন। যা গতকালের তুলনায় কম। গতকাল দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৪৭৬ জন। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬৬ জনের। মৃত্যুর সংখ্যাও গতকালের থেকে কম। গতকাল দেশে করোনার মৃত্যু হয়েছিল ১৫৮ জনের। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ৫ লক্ষ ১৫ হাজার ১০২ জন।
এই মুহূর্তে যে সংখ্যাটা সরকারকে সবচেয়ে স্বস্তি দিচ্ছে সেটা হল অ্যাকটিভ কেস। অ্যাকটিভ কেস আগের মতোই নিম্নমুখী। এই নিয়ে পরপর বেশ কিছু সময় ধরেই কমছে দেশের চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টাতেও স্বস্তি দিয়ে অনেকটাই কমছে অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৫৪ হাজার ১১৮ জন। অ্যাকটিভ কেসের হার কমে দাঁড়িয়েছে ০.১৩ শতাংশে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৬২০ জন। দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা অনেকটাই বেশি। যা অবশ্যই আশার আলো দেখাচ্ছে। এই মুহূর্তে সুস্থতার হার ৯৮.৬৮ শতাংশ।
করোনার মোকাবিলায় এখনও চলছে টিকাকরণ। এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৭৮ কোটি ৯০ লক্ষ ৬১ হাজার ৮৮৭ জনের করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। সব মিলিয়ে দেশে করোনা গ্রাফ স্বস্তিজনক জায়গায় রয়েছে। এদিকে, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় সব রাজ্যেই ধীরে ধীরে করোনাবিধি শিথিল করা হচ্ছে। ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকা দেওয়ার কাজ চলছে পাশাপাশি চলছে দেশের প্রবীণ নাগরিকদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের আসায় খুলেছে ছোটদের স্কুল। করোনার গ্রাফ বলছে ধীরে ধরে সুস্থতার পথেই এগোচ্ছে দেশ। তাও বিশেষজ্ঞদের দাবি, একটু অসতর্ক হলেই বিপদ হতে পারে। তাই করোনাবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। তাছাড়া চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কাও রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :