বিয়েবাড়ি মানেই চারদিকে হইহই, সাজো সাজো রব৷ চারপাশে উৎসবের মেজাজ। কিন্তু সে বিয়েই যদি ভেঙে যায় কোনও কারণে? আজকাল নানা কারণে বিয়ে ভাঙার কথা শোনা যায়৷ চারহাত এক হওয়ার এই আনন্দ অনুষ্ঠানের মধ্যে ঝামেলার ঘটনারও শেষ নেই। যেমনটা ঘটল উত্তরাখণ্ডের হলদুয়ানিতে। বিয়ের মণ্ডপ থেকেই বরকে ফেরালেন কনে। সাতপাক নিতে নিতেই ভেঙে দিলেন বিয়ে!
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বরের বাড়ি হলদুয়ানির বিথোরিয়ায়। আর কনের বাড়ি শহরে। বেশ জাঁকজমকের সঙ্গে বিয়ে হচ্ছিল। বরযাত্রী নিয়ে হইহই করে বিয়ে করতে আসেন বর। কিন্তু আচমকা ছন্দপতন। প্রথমে বরের বন্ধুদের ব্যবহারে বেশ বিরক্ত হয়েছিলেন কনের পরিবার। তবু তার মধ্যেই এগোচ্ছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। কিন্তু স্বয়ং বরের কীর্তিতে বিয়েই ভেস্তে দিলেন কনে।
পাত্র সাতপাকে ঘুরছেন যখন তখনই বোঝা যাচ্ছে তাঁর পা কাঁপছে। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিনে অপ্রকৃতস্থ অবস্থায় তিনি। আর তার মধ্যেই একের পর এক দাবি জানাতে থাকেন তিনি। প্রথমে কনের বাবার কাছে দাবি করেন বন্ধুরা আর একটু আনন্দ করবে। তার জন্য ৫ লাখ টাকা ‘আবদার’ করেন। তার পর সাত পাকে ঘুরতে ঘুরতে জানান, তাঁর একটা গাড়িও চাই।
এর পরই বর ও কনেপক্ষের মধ্যে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। কনেপক্ষ সাফ জানিয়ে দেন, বিয়ের আগে এ রকম কোনও দাবির কথা তাঁদের জানানো হয়নি। অন্য দিকে, পাত্রপক্ষের বলছে এই ‘আবদার’ মানতেই হবে। এ সবের মধ্যে এল মালাবদলের মুহূর্ত। এত ক্ষণ চুপ ছিলেন কনে। আর থাকতে পারেননি। বরের মুখ দিয়ে তীব্র মদের গন্ধ পেয়ে মালা রেখে দিলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, বিয়ে করছেন না।
শহরের গ্যাস গুদাম রোডে ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে শুরু হয় চরম হট্টগোল। তবে কনে তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। ধীরে ধীরে বেরিয়ে যেতে হয় বর ও বরযাত্রীদের। পুলিশ জানিয়েছে, এই বিয়ের অনুষ্ঠান পণ্ড হওয়া নিয়ে দু’পক্ষের তরফেই মৌখিক অভিযোগ পেয়েছেন তাঁরা। তবে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :