1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

প্রতিটি বিষয়েই ৩৫ পেয়ে বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ! ছেলের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বাবা, দিলেন সংবর্ধনাও

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২২, ১০:১৭ এএম

প্রতিটি বিষয়েই ৩৫ পেয়ে বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ! ছেলের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বাবা, দিলেন সংবর্ধনাও
প্রতিটি বিষয়েই ৩৫ পেয়ে বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ! ছেলের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বাবা, দিলেন সংবর্ধনাও / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ পরীক্ষায় কম নম্বর পেলে বাবা-মার বকা খাওয়ার ভয় কমবেশি প্রত্যেকেরই থাকে। কিন্তু এর ঠিক উল্টোটাও যে হতে পারে এমন কখনও কল্পনা করেছেন কি? হ্যাঁ এমনটাই হয়েছে। অত্যন্ত কম নম্বর নিয়েই বোর্ড পরীক্ষায় পাশ করেছে ছেলে। আর তাতেই উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে বাবার। এমনটাই দৃশ্য দেখা গিয়েছে মহারাষ্ট্রের পুণের জনাই বাগে।

সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে প্রকাশিত হয়েছে দশম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল। পাশের হার ৯৬ শতাংশেরও বেশি। ৯০ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছে অসংখ্য পড়ুয়া। সব মিলিয়ে রেজাল্টের মান যথেষ্ট ভালো। ভালো নম্বর পেয়ে যখন আনন্দে মেতে উঠেছেন বাকি পড়ুয়া ও অভিভাবকরা ঠিক তখন কম নম্বর পেয়ে পাশ করা এক ছাত্রকে নিয়েও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেল তাঁর বাবাকে।

জানা গিয়েছে, সদ্য বোর্ডের পরীক্ষায় পাস করা ওই ছাত্রের নাম শুভম যাদব। তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুমহলের মধ্যে অনেকেই ৯০ শতাংশ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে পরীক্ষায়। কিন্তু প্রতিটি বিষয়েই শুভমের প্রাপ্ত নম্বর মাত্র ৩৫। কিন্তু তাতে কী? ছেলে যে পাশ করেছে এটাই তাঁর বাবার কাছে অনেক বড় পাওনা। তাই ছেলের সাফল্যে মেতে উঠেছেন বাবা।

কেবল বাবাই নন, শুভমের কৃতিত্বে সমান উচ্ছ্বসিত পাড়া-প্রতিবেশীরাও। শুভম খারাপ নম্বর পেলেও তাঁকে বকাবকির পরিবর্তে তাঁর সাফল্যের উদযাপনে মেতে ওঠেন সকলে। তাঁকে কাঁধে তুলে নাচানাচি করতে দেখা যায় পাড়া-প্রতিবেশীদের। এর পাশাপাশি পাগড়ি পরিয়ে দেওয়া হয় সংবর্ধনাও।

এই প্রসঙ্গে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে শুভম বলেন, “দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় পাশ করে খুব আনন্দ হচ্ছে। তবে কম নম্বর পেয়েছি।” অন্যদিকে ছেলের সাফল্য প্রসঙ্গে বাবার বক্তব্য, “ছেলে কম নম্বর পেয়েছে তো কী হয়েছে। আমি খুশি। কারণ কোভিডের কারণে গত দু’বছর সংসার চালানোর জন্য কাজে ঢুকেছিল শুভম। সেই কাজ করেও আমার ছেলে এই নম্বর পেয়েছে। এর থেকে বেশি কিছু আর হতে পারে কি! আমি খুশি।”

আরও পড়ুন