বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় গত তিনদিন ধরে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে জেরা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সোম, মঙ্গল, বুধ এই তিনদিন ধরে মোট ৩০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। কিন্তু তারপরেও সন্তুষ্ট নন ইডি’র তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেই কারণেই ফের তলব করা হয়েছে রাহুল গান্ধীকে। শুক্রবার হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত তহবিল তছরুপের মামলায় সোমবারই প্রথম নয়া দিল্লিতে ইডি’র সদর দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সপ্তাহের প্রথম দিনে, ২ দফায় তাঁকে মোট ১০ ঘবতা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর পরপর দু’দিন মঙ্গল এবং বুধবার ফের জেরা করা হয়। এই দুদিনও ১০ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বুধবার রাত সোয়া ৯ টা নাগাদ ইডি’র দফতর থেকে বেরিয়ে জান তিনি। এরপর শুক্রবার ফের তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বেআইনি অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে, গত তিনদিন ধরেই রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। জানা গিয়েছে, রাহুল গান্ধীর জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও এবং অডিও রেকর্ডিং হচ্ছে। এমনকি কাগজেও লিখে রাখা হচ্ছে। পরে সেই কাগজ জমা নেওয়ার আগে টা দেখিয়ে নেওয়া হচ্ছে কংগ্রেস সাংসদকে। রাহুল গান্ধী নিজের বক্তব্য মিলিয়ে দেখে নিচ্ছেন এবং শেষে সই করে সেই কাগজ জমা দিচ্ছেন।
অন্যদিকে, রাহুল গান্ধীকে ইডি’র জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনায় প্রতিদিনই দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কংগ্রেস। বুধবারও কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। ইডি’র কার্যালয়ের বাইরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। শুক্রবারও এই জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ানোর সম্ভবনা আছে দিল্লিতে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় টানা তিনদিন ধরে কংগ্রেস সাংসদ রেহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বেআইনি অর্থিক লেনদেনের অভিযোগে রাহুল ও সোনিয়া গান্ধীকে নোটিশ ধরিয়েছে ইডি। ২ জুন, বৃহস্পতিবার রাহুলকে এবং ৮ জুন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে ইডির দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর সেই দিন পাল্টে ১৩ জুন রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। এদিকে, করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভরতি হওয়ার কারণে সোনিয়া গান্ধী এখনও ইডি’র মুখোমুখি হননি।
সূত্রের খবর, সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেননি তিনি। সেই কারণেই একাধিকবার জেরা করছেন ইডি’র তদন্তকারী আধিকারিকরা। এদিকে, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই জেরার ঘটনাকে কেন্দ্রের বিজেপিশাসিত সরকারের প্রতিহিংসামূলক আচরণ বলে দাবি করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :