বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এক বর্বরোচিত ঘটনার সাক্ষী থাকল হায়দরাবাদ থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরের চৌটুপ্পাল শহর। এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে খুনের পরও থামল না অভিযুক্ত। ফের ওই গৃহবধূর মৃতদেহের সঙ্গে যৌনাচারের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। এই গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত পুলিশ-প্রশাসন থেকে সাধারণ মানুষ।
ইতিমধ্যেই এই ঘৃণ্য অপরাধের কারণে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনা শিউরে উঠছে মানুষ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদ থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরের চৌটুপ্পাল শহরে।
ধৃত যুবক ওই শহরে যেখানে কাজ করছিল সেখান থেকে কিছুটা দূরে একটি গুদামে বাস করতেন ওই মৃতা তরুণী তাঁর স্বামীর সঙ্গে। বছর ২৫ এর ওই তরুণীর স্বামী স্থানীয় একটি কলেজে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করেন। কাজেই দীর্ঘ সময় ওই তরুণীকে একাই থাকতে হত। আর সেটারই সুযোগ নিয়েছে অভিযুক্ত যুবক।
জানা গিয়েছে, চলতি মাসে ৯ তারিখ ধৃত যুবক ওই তরুণীর কাছে যান। অভিযোগ খুনের হুমকি দিয়ে, তাঁকে ধর্ষণ করে ধৃত। কিছুক্ষণ পর সে আবার ফিরে আসে। ভারী কোনও বস্তু দিয়ে তরুণীর মাথায় আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে তরুণী, কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যুও হয়। এরপরও থামেনি অভিযুক্ত যুবক। তরুণীর মৃত্যুর পরেও তাঁর মৃতদেহের সঙ্গে যৌনাচারে লিপ্ত হয় সে। পরে তরুণীর গায়ে থাকা সোনার গয়না লুঠ করে পালায়।
এদিকে, কিছু সময় পরে, কাজের জায়গা থেকে ফিরে আসেন তরুণীর স্বামী। ফিরেই স্ত্রীকে মৃত অবস্থায় পান তিনি। তরুণীর স্বামী দ্রুত পুলিশের দ্বারস্থ হন। এরপর তরুণীর স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। গত বুধবার মালকাপুর থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে তরুণীর গয়নাও। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী ধর্ষণ ও খুনের মামলা দায়ের করে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :