বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ফের খবরের শিরোনামে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি। কয়েক মাস আগেই এই জায়গাতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের গাড়িতে চাপা পড়ে ৪ কৃষকের মৃত্যু হয়েছিল। এবার সেই লখিমপুর খেরিই আরও এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল। বুধবার সন্ধ্যায় লখিমপুর খেরি জেলার নিগহাসন থানার সীমানায় তফসিলি জাতির দুই নাবালিকা বোনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়।
জানা গিয়েছে, মৃত দুই নাবালিকার একজনের বয়স ১৭ বছর এবং অপরজনের বয়স ১৫ বছর। বুধবার সন্ধ্যায় নিগহাসন থানার সীমানায় একটি গাছ থেকে দুই বোনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় নাবালিকার পরিবার এবং স্থানীয় গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে তিন যুবকের বিরুদ্ধে ওই দুই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ করা হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই নাবালিকার দেহ উদ্ধারের পর গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। গ্রাম থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে নিগহাসন ক্রসিংয়ে অবরোধ করা হয়। লখিমপুর খেরির পুলিশ সুপার সঞ্জীব সুমন, এএসপি অরুণ কুমার সিং এবং অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা এসে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রামবাসী এবং মৃত দুই নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে তাঁদের। এই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া দিয়েছেন শীর্ষ আধিকারিকরা। এদিকে, এই ঘটনার পর দ্রুত লখিমপুর খেরি চলে আসেন লখনউ রেঞ্জের ইন্সপেক্টর জেনারেল পুলিশ লক্ষ্মী সিংও। ঘটনার পর গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
পুলিশ সুপার গ্রামবাসী এবং মৃত দুই নাবালিকার পরিবারকে আশ্বাস দিয়েছেন যে, দ্রুত এই মামলার নিষ্পত্তি করা হবে। তিনি গ্রামবাসীদের অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি নাবালিকাদের দেহের ময়নাতদন্তে সহযোগিতা করার অনুরোধও জানান। এর পাশাপাশি ময়নাতদন্তের সময় পরিবারের সদস্যদের সেখানে উপস্থিত থাকার কথাও বলেন।
এদিকে, স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গ্রামেরই একটি আখের ক্ষেতের একটি গাছে একই স্কার্ফ দিয়ে দুই কিশোরীর লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁরা জানিয়েছেন, ছোট মেয়ের পা মাটিতে লেগেছিল এবং বড় বোনের লাশ শূন্যে ঝুলছিল। আবার দুই নাবালিকার মা জানিয়েছেন, তাঁর সন্দেহ মেয়েদের খুন করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, পাশের গ্রামের তিন যুবক বাইক করে এসে ওই দুই নাবালিকাকে অপহরণ করেছিল। ঘটনার সময় ওই তিন যুবক কী রঙের জামা পরেছিল, তাও জানিয়েছেন নাবালিকাদের মা পুলিশকে। দুই নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুন ও ধর্ষণ ও পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব হবে। এই আবহে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মাঝেই দুই বোনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
আপনার মতামত লিখুন :