দৌড়গোরায় এসে গেছে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গোৎসব। প্রতি বছর আমরা যার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকি। দুর্গাপুজো মানে প্রচুর আনন্দ, হইচই, ঘোরাঘুরি আর সঙ্গে পেট পুজো। পুজোতে ঘোরাঘুরির সাথে সাথে জমিয়ে পেটপুজো কিন্তু হওয়ায় চাই। আর আমরা বাঙালিরা তো একটু পেটুক তা বলাই চলে।
আর বাঙালির পেটে মাছ পড়লে আর কি চায়। আমাদের প্রিয় মাছ তা বলাই বাহুল্য। আর যদি হয় ইলিশ মাছ তাহলে তো কথাই নেই। মাছের রাজা ইলিশ তা আমরা সবাই জানি। ইলিশের যেমন গন্ধ তেমন স্বাদ আর সঙ্গে স্বাস্থ্য গুন সম্যৃদ্ধ। তাই আজকের স্পেশাল রেসিপি রইল ইলিশের। ইলিশ মাছ যারা খেতে ভালোবসেন তারা চটপট শিখে নিন এই পদ।
আর ১ দিন পরেই অর্থাৎ শনিবার রাত পোহালেই মহালয়া। মহালয়ার দিন অনেকেই কাজে ছুটি পেয়ে পুজোর আগেই বন্ধুদের সাথে আড্ডায় বসেন, আবার বাইরে যারা থাকেন তারা বাড়ি ফিরে আসেন হইহুল্লর করে পুজো কাটাবেন বলে। আসলে মহালয়া থেকেই প্রায় শুরু হয়ে যায় পুজো। আর তাই সবাই মিলে আড্ডা তো হবেই। মহালয়ার সন্ধ্যার আড্ডা জমে যাক ঠাকুরবাড়ির স্টাইলে ইলিশ ফিরিঙ্গি ফ্রাই রান্নার সাথে। কি করে বানাবেন মুখরোচক এই চপ? চলুন দেখে নেওয়া যাক।
ইলিশ ফিরিঙ্গি ফ্রাই তৈরি করতে যা যা লাগবে- ইলিশ মাছ, পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা, কাঁচালঙ্কা বাটা, গোলমরিচ গুঁড়ো, আধ টেবিল চামচ ভিনিগার, ময়দা, ব্রেডক্রাম, স্বাদমতো নুন ও ভাজার জন্য সর্ষের তেল । ( যতজন লোকের জন্য তৈরি করবেন সেই পরিমানে মাছ ও মশলা দিতে হবে )
রন্ধন প্রণালী – প্রথমে মাছে পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা, কাঁচালঙ্কা বাটা, গোলমরিচ গুঁড়ো, নুন, ভিনিগার মাখিয়ে ৪০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন। অন্যদিকে ১ কাপ জলে ময়দা গুলে রেখে দিন। ও একটি মেলানো পাত্রে ব্রেডক্রাম ঢেলে রাখুন। ৪০ মিনিট পর মাছগুলি বের করে রাখুন। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে মাছ ময়দায় ডুবিয়ে ব্রেডক্রাম মাখিয়ে তেলে ছেড়ে দিন। ভাল খড়া করে ভেজে তুলে নিন।
আপনার মতামত লিখুন :