বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কথায় বলে শিল্পী এবং তাঁর সৃষ্ট শিল্পের কখনও মৃত্যু হয় না। নিজের শিল্পের মধ্যে দিয়ে শিল্পী অমরত্বের স্বাদ পান। দশকের পর দশক ধরে থেকে যান মানুষের মণিকোঠায়। একথাগুলি যে কতোটা সত্যি, তা ফের একবার প্রমাণ হয়ে গেল।
গত মঙ্গলবারই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী কেকে-এর। দেখতে দেখতে এক সপ্তাহ হয়ে গেল কেকে-এর চলে যাওয়া। সংস্কৃতিমুখর এই কলকাতা শহরের বুকেই গান গেয়ে মানুষকে আনন্দ দিতে এসেছিলেন। আনন্দ তো দিয়েছেন। কিন্তু তার পরক্ষণেই কাঁদিয়ে চলে গেলেন ‘না ফেরার দেশে’। প্রিয় এই তারকার মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কেউই। তাঁর গানেই মগ্ন কলকাতাবাসী।
সোমবার যে মানুষটা গিটার হাতে কলকাতা শহরের বুকে পা রেখেছিলেন, কলকাতায় গাইতে আসছেন বলে যে মানুষটা এতোটা উদগ্রীব ছিলেন, গত বুধবার সেই মানুষটাই কফিনবন্দি হয়ে এই শহরকে বিদায় জানালেন। এটা সত্যিই মানা যায় না। রবীন্দ্রসদনে গান স্যালুটের মাধ্যমে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। সেই রবীন্দ্রসদনেই রবিবার জমায়েত হয়েছিল শতাধিক গায়ক-গায়িকা, গিটারিস্টের। এঁদের সকলের কণ্ঠে ফের একবার ধরা দিলেন সদ্য প্রয়াত শিল্পী কেকে। সমবেত কণ্ঠ গেয়ে উঠল কেকে-এর প্রথম ও বিখ্যাত অ্যালবাম ‘পল’-এর সেই জনপ্রিয়, কখনও না ভোলার মতো গান, ‘হাম রহে ইয়া না রহে কাল, কাল ইয়াদ আয়েঙ্গে ইয়ে পল।’
গত মঙ্গলবার এই গানটি গেয়েই নিজের অনুষ্ঠান শেষ করেছিলেন শিল্পী। তারপরেই সব শেষ। থেমে গেল প্রখ্যাত এক কণ্ঠ। কে জানত তখন যে, তাঁর এই শেষ গান জীবনের শেষ গান হয়েই থেকে যাবে। এতোটা বাস্তব হয়ে উঠবে গানের কথাগুলো। চলে গেলেন কেকে, থেকে গেল শুধু তাঁর গান।
রবিবার তাঁর এই গানেই কেকে-র উদ্দেশে বিশেষ শ্রদ্ধা জানালেন শহর কলকাতার সঙ্গীতপ্রেমীরা। এই বিশেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের আয়োজন করেছিল বি গার্ডেন বাস্কারস। শান্তনু, দেবজিৎ, রিমা, সুমিত-এই চারজনের উদ্যোগেই জমায়েত হওয়ার কথা ছিল ১০০ জন গায়কের। কিন্তু এদিন সবমিলিয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৩০০ জন। কেকে-র গানেই তৈরি হল, আজীবন মনে রাখার মতো এক সুন্দর মুহূর্ত। যেখানে কেকে-র একটি গানই গেয়ে উঠলেন শহরের তরুণ কন্ঠরা। সেই সব কণ্ঠে ঝরে পড়ল আগেব, কেকে-কে হারানোর বেদনা। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ভিডিও।
আপনার মতামত লিখুন :