বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ পল্লবী-বিদিশার পর শহরে আরও এক অভিনেত্রীর রহস্যমৃত্যু। টলিপাড়ার অভিনেত্রী পল্লবী দে এবং মডেল বিদিশার পর এবার আরও এক অভিনেত্রী তথা মডেল মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল তাঁর পাটুলির বাড়ি থেকে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদিশার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন মঞ্জুষা। কাজের সূত্রেই তাঁদের পরিচয়। মঞ্জুষার মায়ের দাবি, বিদিশার মৃত্যুর পর থেকেই অবসাদে ভুগছিলেন অভিনেত্রী-মডেল। মাকে অনেকবার সেকথা জানিয়েওছিলেন। তার জেরেই এই আত্মহত্যা। যদিও পুলিশ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও সুইসাইড নোট পায়নি। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠিয়েছে। ইতিমধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তও শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় তদন্তকারীরা।
জানা গিয়েছে, মঞ্জুষা টলিউডে কাজ করছেন বহুদিন ধরেই। একটি টিভি চ্যানেলের ধারাবাহিকে অভিনয় করতেন। পাশাপাশি থিয়েটারেও অভিনয় করতেন তিনি। এদিকে, বিদিশার মৃত্যুর ঠিক দু’দিনের মাথায় তাঁর বন্ধু মঞ্জুষার অস্বাভাবিক মৃত্যুর মধ্যে কোনও যোগসূত্র আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে, মঞ্জুষা বিবাহিত। বিয়ের পর তাঁর এই ধরনের কাজ নিয়ে আপত্তি ছিল স্বামীর। যা নিয়ে দু’জনের মধ্যে প্রায়শই বচসা হত। যার জন্য বিয়ের পর কাজ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছিলেন মঞ্জুষা।
দিন চার আগেই মঞ্জুষা পাটুলিতে বাপের বাড়িতে আসেন। বৃহস্পতিবারও ফটোশ্যুট করেছেন তিনি। সেদিন তাঁর স্বামী নিতে এসেছিলেন তাঁকে। সেদিনও কাজ নিয়ে দু’জনের মধ্যে তর্ক হয়। এরপর মঞ্জুষার মা জামাইকে কিছুদিন মেয়েকে বাপের বাড়িতে রেখে যেতে বলেন। এদিকে, এর মধ্যেই বুধবার বিদিশার মৃত্যুর খবর পান মঞ্জুষা। এরপর থেকেই মঞ্জুষা অবসাদে ভুগতে থাকেন।
উল্লেখ্য, মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে বাংলার বিনোদন জগতে তৃতীয় অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। প্রথমে গড়ফায় ছোট পর্দার ব্যস্ত ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। বুধবার মডেল বিদিশারও ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায় নাগেরবাজার থেকে। আর এই দু’টি ঘটনাতেই মৃ্ত্যুর নেপথ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপড়েন প্রকাশ্যে এসেছে। মঞ্জুষার মৃত্যুর নেপথ্যেও তেমনই কোনও ঘটনা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :