বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এক বিধবা একইসঙ্গে ৫ জন পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলছিলেন। ওই ৫ জনই বিধবাকে ভালোবাসতেন। এই ৫ জনের তালিকায় মধ্যে ৪ জন বৃদ্ধ এবং এক যুবক ছিলেন। প্রত্যেকেই ওই মহিলার সঙ্গে সময় কাটাতে চাইতেন। সেই নিয়েই তৈরি হয়েছিল জটিলতা। পরে ওই যুবতীর এক বৃদ্ধ প্রেমিক খুন হন বাকি চারজন প্রেমিকের হাতে।
চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই খুন হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। বিহারের নালন্দায় ঘটেছিল সেই খুনের ঘটনা। সেই ঘটনায় গত রবিবার অভিযুক্ত সকলকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়ার তালিকায় রয়েছেন ওই যুবতীও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আস্থাবান থানার অন্তর্গত বেলওয়াপার গ্রামে পলিটেকনিক কলেজের পিছনে নির্মাণ হচ্ছিল একটি বাড়ি। সেই নির্মীয়মাণ বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। জানা যায় যে, মৃত ব্যক্তির নাম তিরপিত শর্মা, বয়স ৭৫ বছর। এরপরই অক্টোবর মাসে তাঁর ছেলে মিঠু কুমার আস্থাবান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করতেই পরকীয়ার কাহিনি প্রকাশ্যে এসেছে।
পুলিশ তদন্ত শুরু করে জানতে পেরেছে, আস্থাবান পলিটেকনিক কলেজের কাছেই থাকেন পিনো দেবী। বছর ৩০-এর ওই মহিলা বিধবা। কয়েক বছর আগে পিনো দেবীর স্বামী রাম পাসোয়ানের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই ওই মহিলার সঙ্গে একাধিক পুরুষের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গরে ওঠে।
বিহারসরিফ সদরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শিবলি নোমানি জানিয়েছেন যে, ওই মহিলার সঙ্গে ৫ জনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই ৫ জনের মধ্যে ৪ জন বয়স্ক ব্যক্তি এবং একজন যুবক। তিরপতিও ওই চার বৃদ্ধের মধ্যে একজন। কিন্তু সম্প্রতি তিরপতির সঙ্গে নানা বিষয়ে মনোমালিন্য হয় পিনো দেবীর। এরপরই বাকি ৪ প্রেমিকের সাহায্য নিয়ে তিরপিতকে খুনের ষড়যন্ত্র করেন ওই বিধবা মহিলা। সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতেই মহিলার বাকি ৪ প্রেমিক তিরপিতকে নির্মীয়মাণ বহুতলের ছাদে নিয়ে যান। সেখান থেকে জলের ট্যাঙ্কে ঠেলে ফেলে দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে খুনে বাকি অভিযুক্তরা হলেন কুটুবচকের বাসিন্দা কৃষ্ণনন্দন প্রসাদ (৭৫)। আকবরপুরের বাসিন্দা বেনারস প্রসাদ ওরফে লোহা সিং (৬৫)। ছাবিলাপুরের বাসিন্দা বাসুদেব পাসোয়ান (৫৫) এবং সূর্যমণি কুমার।
আপনার মতামত লিখুন :