স্বামীকে খুন করে সেপটিক ট্যাংকে ভরে রাখলেন স্ত্রী! ৪০ দিন পর উদ্ধার দেহ

দীর্ঘ ৪০ দিন নিখোঁজ ছিলেন নদীয়ার হরিণঘাটা এলাকার মাঝের পোড়া গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল মন্ডল। এরপর রহস্যজনকভাবে বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকেই উদ্ধার হল ওই ব্যক্তির দেহ। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।

জানা গিয়েছে বছর ৪২ এর আজিজুল বিগত ৪০ দিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এরপর হরিণঘাটা থানায় বাবার নিখোঁজ এর অভিযোগ দায়ের করেন মৃত ব্যক্তির বড় মেয়ে। তখনই খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে।

মৃতের বড় মেয়ে জানিয়েছেন, তিনি বাড়িতে ঘুরতে এসে জানতে পারেন বেশ কিছুদিন ধরেই তার বাবার নিখোঁজ রয়েছেন। একই সঙ্গে জানতে পারেন তার মেজ বোনের কাছ থেকে তার মা তার বাবাকে খুন করেছে। এরপরে সোমবার হরিণঘাটা থানায় তিনি গোটা বিষয়টি জানান। মঙ্গলবার সকালেই ঘটনাস্থলে আসে হরিণঘাটা থানার পুলিশ।

মৃতের বড় মেয়ে আরো জানায়, পুলিশ এসেই মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পিছনের একটি অংশের মাটি খুঁড়তে শুরু করে। এরমধ্যেই মৃতের স্ত্রীকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু সেখানে কিছু না পাওয়া যাওয়ায় মৃতের অভিযুক্ত স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর গ্রামের লোকেদের সন্দেহ হওয়ায় তারা বাড়িতে ঢুকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে।

স্থানীয় সূত্রে খবর গ্রামের লোকেরা বাড়িতে ঢুকে খোঁজাখুঁজি শুরু করতেই সেপটিক ট্যাংক থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে বোটির বাট দিয়ে স্বামীর মাথায় সজোরে আঘাত করে তাকে খুন করেছেন স্ত্রী। এরপরে প্রমাণ লোপাটের জন্য তার দেহ ফেলে দেওয়া হয় সেপটিক ট্যাংকে। এদিকে মঙ্গলবার রাতে হরিণঘাটা থানার পুলিশ উদ্ধার করেছে। ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহ। এদিকে ঘটনার পর চম্পট দিয়েছে অভিযুক্ত স্ত্রী তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।