বুধবার সাত সকালে গলায় ধারালো অস্ত্রের কোঁপ। বাঁচার চেষ্টায় আর্তনাদ করেও লাভ হল না। এগিয়ে এল না একজনও। পথেই মারা গেলেন যুবক। বুধবার বর্ধমান-২ ব্লক অফিস এবং দেওয়ানদিঘী থানার নাকের ডগায় ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল ৯টায় ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে যুবকটিকে কোঁপায় আরেকটি যুবক। তারপরই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। এরপর গলায় কোপ লাগা অবস্থায় যুবকটি কিছু দূর যাওয়ার পরেই রাস্তায় লুটিয়ে পরে। বাঁচার জন্য চিৎকার করতে থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেনি।
খবর পেয়ে আধ ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে আসে দেওয়ানদিঘী থানার পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় যুবকটিকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা যুবককে মৃত্যু বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম বিশ্বজিৎ দাস। বাড়ি বর্ধমানের বিজয়রাম এলাকায়। বুধবার সকাল ৮ঃ৩০ মিনিট নাগাদ ভাড়া গাড়ি চালানোর জন্য বাড়ি থেকে বেরোন বিশ্বজিৎ। তারপরই ঘটে এই কাণ্ড। কিন্তু কেন এরকম নৃশংসভাবে খুন করা হল বিশ্বজিৎকে তা কেউই বুঝে উঠতে পারছেন না মৃতের ভাই ও জ্যাঠার দাবি, বিশ্বজিতের সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না। তা সত্ত্বেও কেন এমন কাণ্ড ঘটল, তা তাঁদের ভাবনারও অতীত৷
এদিকে, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় ডি.এস.পি অতনু ঘোষাল। কীভাবে যুবককে খুন করা হল বা কেন এই খুন তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :