বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ পেট্রোপণ্য এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এর জেরে মধ্যবিত্তের মাথায় হাট। এরই মাঝে মধ্যবিত্তের চিন্তা আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে বাড়ল ওষুধের দাম। প্রায় কয়েকশো জীবনদায়ী ওষুধের দাম বেড়েছে শুক্রবার থেকেই। আজ থেকে দাম বেড়েছে ৮০০ ওষুধের। মধ্যবিত্তের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দাম বাড়ছে দৈনন্দিন ব্যবহারের ওষুধ যেমন- প্যারাসিটামল, অ্যাজিথ্রোমাইসিন, হার্টের বেশ কিছু ওষুধ, সংক্রমণের ওষুধ-সহ প্রায় ৮০০ ধরনের ওষুধের।
শুক্রবার থেকে পাইকারি বাজারে এইসব ওষুধের দাম বাড়বে ১০.৭৬ শতাংশ। গত সপ্তাহেই এই দাম বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিল ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি। জ্বালানী ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ার কারণে এমনিতেই দুশ্চিন্তায় সাধারণ মানুষ। তার উপর, ওষুধের দাম ১০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায়, চাপ আরও বাড়বে মধ্যবিত্তের উপরে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহই নেই। আর এই দাম বৃদ্ধির কারণে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়বেন দেশের বয়স্ক অবসরপ্রাপ্ত মানুষ। কারণ এই অংশের মানুষের জমানো অর্থের বেশিরভাগই খরচ হয় ওষুধের পিছনেই। শুধু তাঁরা কেন, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র মানুষও সমস্যায় পড়বেন নিশ্চিতভাবেই। এই দাম বৃদ্ধির জেরে চিকিৎসার খরচ সাধারণের ধরা-ছোঁয়ার প্রায় বাইরে চলে যাবে বলেই অনেকে মনে করছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এমনিতেই করোনার জেরে অনেকেই আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন। মানুষের উপার্জন আগের থেকে অনেকটাই কমে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এভাবে প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়তে থাকা, বিশেষ করে ওষুধের দাম বৃদ্ধি পাওয়া, মানুষকে আরও বেশি করে সমস্যার দিকে ঠেলে দিল।
এদিকে, বেঙ্গল কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন যে, তাঁরা এই ওষুধের দাম বাড়ার তীব্র প্রতিবাদ করছেন। তিনি জানান, এক হাজার ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা সরকারকে জানিয়েছে যে, কাঁচামালের দাম বাড়ায় ওষুধের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন আছে। কিন্তু যে ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে, তা মানুষের নিত্যদিনের দরকারের ওষুধ।
আপনার মতামত লিখুন :