জনপরিবহণের ক্ষেত্রে প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক ভারতবাসীর কাছে সফরের অন্যতম ভরসা ভারতীয় রেলপথ। অত্যন্ত অল্প খরচে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই রেলপথের বিকল্প নেই। বিশেষ করে দূরভ্রমণের ক্ষেত্রে জনসাধারণের প্রথম পছন্দ রেল যাত্রাই। তাই প্রতিনিয়তই দেশের অধিকাংশ মানুষ রেলের মাধ্যমে যাতায়াত বেছে নেন।
ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষের তরফে দেশের এই রেল পরিষেবাকে উন্নত করতে প্রায়ই নানা নিত্যনতুন পরিকল্পনা নেওয়া হতেই থাকছে। যাত্রী সুবিধার্থে আনা হচ্ছে একাধিক পরিষেবাও। এবার দূরভ্রমণের ক্ষেত্রেও নতুন দিশা দেখাচ্ছে ভারতীয় রেল। যার ফলে বিশেষ সুবিধা পেতে চলেছেন ভ্রমণপিপাসু মানুষজন।
ভ্রমণপ্রেমীদের সুবিধার্ধে ইতিমধ্যেই ভারত-বাংলাদেশ ট্রেন পরিষেবা চালু হয়েছে। পাশাপাশি ভুটান-নেপাল ভ্রমণের ট্রেন পরিষেবাও চালু হচ্ছে শীঘ্রই। এবার সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রেল পথগুলির সঙ্গে জুড়ে যাবে কাশ্মীর উপত্যকাও। খুব দ্রুতই এই ট্রেন পরিষেবা চালু হতে চলেছে বলে জানানো হয়েছে। চলতি বছর ভূস্বর্গে বহু পর্যটকদের আগমন দেখা গিয়েছে। এই রেল পরিষেবা চালু হলে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশা রেল কর্তৃপক্ষের।
রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, জম্মু এলাকার রামবান সেক্টরের একটি বড় অংশ জুড়ে দেশের দীর্ঘতম রেল টানেলের কাজ শেষ হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের পুরো উধমপুর-বারামুল্লা-শ্রীনগর রেল লিংকে রেল টানেলের কাজের একটি বড় অংশ সম্পন্ন হয়েছে। এই কাজ বেশ চ্যালেঞ্জিং এবং রোমাঞ্চকরও বটে। কারণ এর দৈর্ঘ্য বিশাল যা পীর-পাঞ্জাল টানেলকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। যে টানেলটি তৈরি করা হয়েছে, সেই টানেলটি সমস্ত রকম পরিবেশে মানিয়ে নিতে সক্ষম।
উল্লেখ্য, রেলপথের এই সংযুক্তিকরণ হলে এবার সহজেই পৌঁছে যাওয়া যাবে জম্মু-কাশ্মীর থেকে শুরু করে ভূস্বর্গের বিভিন্ন জায়গায়। সংযুক্তিকরণের কাজ শেষ হলেই এক ট্রেনে হাওড়া থেকে পৌঁছে যাওয়া যাবে শ্রীনগর। আর রেলপথের এই সংযুক্তিকরণ হয়ে যাওয়ার ফলে আর অন্যান্য মাধ্যম নয়, ট্রেনে সহজেই পর্যটকরা পৌঁছে যেতে পারবেন ভূস্বর্গে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, এই রেল পরিষেবা পুরোপুরি চালু হলে এক ট্রেনেই হাওড়া থেকে জম্মু-কাশ্মীর চলে যেতে পারবেন পর্যটকরা।
আপনার মতামত লিখুন :