বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিশ্বের সবথেকে বড় ভোজ্য তেল সরবরাহকারী দেশ ইন্দোনেশিয়া অপরিশোধিত পাম তেলের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা বাড়াতে চলেছে। এমনটা আগেই জানা গিয়েছিল। মনে করা হচ্ছিল, এর জেরে বাজারে ভোজ্য তেলের অনিশ্চয়তা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে বলেই খবর।
উপরিউক্ত আশঙ্কাকে সত্যি করে এবার ১৪ দিনের মধ্যে অস্বাভাবিক বাড়ল সমস্তরকমের ভোজ্য তেলের দাম। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহের তুলনায় এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে সরষের তেল ১৬৫ টাকা থেকে বেড়ে হল ১৭৫ টাকা। পাম তেলের দাম ১৪৮ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫৯ টাকা। এদিকে, রাইস ব্র্যান তেলের দাম ১৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫২ টাকা। সূর্যমুখী তেল ১৬৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৮১ টাকা এবং সয়াবিন তেল ১৬৪ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৮৪ টাকা। এই ঊর্ধ্বমুখী ভোজ্য তেলের দামে উদ্বিগ্ন মানুষ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আমাদের রাজ্য তেল বা তৈলবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। সরষের তেল আসে মূলত পাঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে। রাইস ব্র্যান তেল আসে বর্ধমান থেকে। তবে, খুবই সামান্য পরিমাণে। বেশিরভাগ পরিমাণ রাইস ব্র্যান তেল আসে কানপুর থেকে।
অন্যদিকে, সূর্যমুখীর বেশিরভাগ আসে ইউক্রেন এবং রাশিয়া থেকে। কিছুটা আসে এদেশের পাঞ্জাব থেকে। পাম তেল আসে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, কানাডা থেকে। এছাড়া সয়াবিন তেল আসে বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশ থেকে। এছাড়াও সয়াবিন তেল আসে পাঞ্জাব এবং রাজস্থান থেকেও।
উল্লেখ্য, পাম তেল ইন্দোনেশিয়া অপরিশোধিত পাম তেলের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেলেও, পাম তেল অনেক দেশেই ভোজ্য তেলই নয়। এই তেল অনেক দেশ গাড়ির ইঞ্জিন ওয়েল হিসেবে ব্যবহার করে। ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধের আবহে বেশ কিছু হোলসেলার কৃত্রিমভাবে দাম বাড়িয়ে চলেছেন বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
আপনার মতামত লিখুন :