বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

আপনার কি এই সমস্যাগুলি আছে? তাহলে ভুলেও খাবেন না আম

সৌভিক বেজ

প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০২২, ০১:১৪ পিএম | আপডেট: এপ্রিল ২২, ২০২২, ০৭:১৪ পিএম

আপনার কি এই সমস্যাগুলি আছে? তাহলে ভুলেও খাবেন না আম
আপনার কি এই সমস্যাগুলি আছে? তাহলে ভুলেও খাবেন না আম

দেখতে দেখেই চলে এসেছে ভরপুর গরমের মরশুম। এই সময়ে সমস্ত মানুষেরই অত্যন্ত প্রিয় দুটি ফল হল আম ও তরমুজ। আমরা সবাই জানি আম খুবই সুস্বাদু একটি ফল। যা সবারই বেশ পছন্দের, এই ফলের স্বাদও খুবই মিষ্টি সাথে রসালো হয়। আবার অনেকেই হয়তো জানেন না যে,কারও কারও ক্ষেত্রে অতি সুস্বাদু এই ফলটিই হতে পারে ক্ষতিকারক।

আমে যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে তা অবশ্যই স্বীকার করতে হয়। অন্যান্য ফলের তুলনায়, আম উদ্ভিদ যৌগ ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সম্রিদ্ধ, যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী বলেই বিবেচিত।

আমে উপস্থিত পটাসিয়াম শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য সঠিক বজায় করে। যা উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে এই ফল। তবে যে সকল মানুষের জন্য আম ক্ষতিকর জেনে নিন সেই সম্পর্কে-

আম আবার অনেক ক্ষেত্রে অনেক মানুষের অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। বিশেষ করে আবার সিন্থেটিক উপাদানে যদি কারোর অ্যালার্জি থাকে তাহলে আমে উপস্থিত প্রোটিন ল্যাটেক্স তাদের শরীরে অ্যালার্জির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই যে সকল মানুষের কোনোপ্রকার অ্যালার্জি আছে তারা আম খাওয়ার আগে অবশ্যই সতর্ক হবেন। আর খেলেও অ্যালার্জির লক্ষন দেখলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

আমে উপস্থিত শর্করার পরিমাণ যথেষ্টই বেশি। যা সেবনের ফলে শরীরে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় অনেকটাই। বিশেষজ্ঞদের মতানুজায়ী, প্রাকৃতিক চিনিও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই যে সকল মানুষের ডায়াবেটিস এর সমস্যা আছে তারা আম খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

আম অনেক প্রজাতির হয়। আর এই সকল জাত অনুযায়ী এতে ফাইবারের পরিমাণও কমবেশি হতে পারে। তবে প্রায় সব ধরনের আমেই বীজ ও খোসায় সর্বাধিক ফাইবার থাকে। যা সাধারণত আমরা খাওয়ার সময় ফেলে দিই। আবার ভুল করে আমের বীজ বা খোসা কেউ খেয়ে নিলেও তা হজম হতে চায় না একদম।

এছাড়াও নিত্যদিন একসঙ্গে অনেকগুলো আম খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। এর মূল কারণ হলো অন্যান্য খাবারের তুলনায় আমে ফাইবার কম থাকে। অন্যদিকে এতে প্রাকৃতিক শর্করার পরিমাণ ও ক্যালোরির পরিমাণ অনেকটাই বেশি। যা মানুষের  ওজন বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।