দৌড়গোরায়এসে গেছে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গোৎসব।প্রতি বছর আমরা পুজোর দিনগুলির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকি। দুর্গাপুজো মানে প্রচুর আনন্দ, হইচই, ঘোরাঘুরি, পেট পুজো আর সাজগোজ। পুজোর৪-৫ টা দিনআমরা আনন্দে মেতে উঠি। আর মনখুলে সেজেগুজে ঘুরে বেড়ায়। এই কটা দিনকোনো বেড়াজাল প্রায় থাকে না বললেই চলে, মনখুলে আনন্দ করা যায়।
তবে এবার পুজোর আগেই শুরু বৃষ্টি। নিম্নচাপের কারণে রাজ্যের প্রায় জেলায় জেলায় বৃষ্টির দেখা মিলছে। তাই পুজোতে আকাশ পরিষ্কার থাকবে নাকি ফের বৃষ্টির আবহাওয়া এসে হাজির হবে তা নিয়ে তো সাধারণ মানুষ একটু চিন্তাতে আছেন বলা যায়। আর তার সাথে প্রায় বাড়িতেই দেখা মিলছে সর্দি – কাশি সহ গলা ব্যাথা।
উল্লেখ্য কদিন আগেই ছিল আগেই ছিল তিব্র গরম। তখন প্রচুর পরিমানে ঘাম হয়েছে। আর এবার শুরু হয়েছে বৃষ্টি তার কারণে আবহাওয়ায় প্রায় আকাশ-পাতাল তফাৎ। গরম – ঠাণ্ডা মিলিয়ে বর্তমানে প্রায় সব বাড়িতেই সর্দি – কাশি হতে শুরু হয়েছে। আর কাশি হলে গলা ব্যাথা তো হবেই। যাদের শরীর অসুস্থ হচ্ছে তারা অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তাই পুজোর আগে এই শরীর খারাপ থেকে সেরে উঠতে স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে।
সর্দিকাশি হলে গলা ও শরীর শুকিয়ে যায়। তাই বেশি পরিমানে জল খেতে হবে। বেশি পরিমানে বিশ্রাম নিতে হবে যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এবং হালকা মানের খাবার খেতে হবে। যাতে তাড়াতাড়ি হজম হয় এবং হজমে সমস্যা না হয়। সঙ্গে গরম জলে গারগিল ও ভাপ নিতে হবে। যা সর্দিকাশি, গলা ব্যাথা সবের জন্যই খুবই উপকারী।
এছাড়া গলা ব্যাথা কমাতে হলুদ এবং মধু দিয়ে তৈরি ঘরোয়া টোটকা রয়েছে। হলুদ ও মধু অ্যান্টি-ব্যাক্টিরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্টযুক্ত। এটি প্রদাহ কমাতে ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে থাকে। যেভাবে তৈরি করবেন এই টোটকা- একটি কাপে আধ চামচ মধুর সঙ্গে নিন দু’চামচ হলুদ আর দুফোঁট লেবুর রস মিশিয়ে নিন। ঠান্ডা লাগলে এটি দিনে তিনবার হাফ চামচ করে খান। দ্রুত গলা ব্যাথা থেকে রেহাই পাবেন।
আপনার মতামত লিখুন :