অনেক মানুষেরই নানান খাবারে অ্যালার্জি হয়। কিন্তু অ্যালার্জি আসলে কি সেটা জানেন না বহু মানুষ। আসলে কোনও খাবার খাওয়ার পর যদি সেই খাবারে উপস্থিত কোনও উপাদানকে শরীরের ক্ষতিকারক বলে মনে হয়, তাহলে কিছু বিশেষ লক্ষণের মাধ্যমে তা বঝা যায়। সেই লক্ষণগুলিই হচ্ছে আসলে অ্যালার্জি। জানাআ জাচ্ছে যে অ্যালার্জির নানা লক্ষণ হতে পারে, কোনও বিশেষ খাবার খেলে কারও ডায়েরিয়া হয় আবার কারও র্যাশ বেরোয়। আবার অনেক সময় বার বার যদি পেট ফাঁপা, গ্যাস্ট্রাইটিস বা বদ হজম হয় তাহলেও সেটি অ্যালার্জির সমস্যার মধ্যে পরতে পারে। এক্ষেত্রে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে কোন খাবার খেলে এই সমস্যাগুলি হচ্ছে। সেই খাবারগুলি অবশ্যই এরিয়ে ছলুন।
অনেকের বিশেষ বিশেষ ফুড গ্রুপে অ্যালার্জি দেখা যায়, এগুলি আবার পারিবারিক সূত্রে উত্তরাধিকার হিসেবেও আসতে পারে। দেখা যায় ছোটবেলায় এগুলি হলেও আবার শিশুবয়স পেরিয়ে গেলে তা কমেও যায়। ত্বক, গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল ট্র্যাক্ট, কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেম এবং শ্বাসনালীতে এই অ্যালার্জির লক্ষণগুলি দেখা যেতে পারে। আবার অনেক সময় একসঙ্গে একাধিক অঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন, কারও কারও ক্ষেত্রে আবার ঘণ্টা দুই-তিন পরে সেই লক্ষণ ফুটে ওঠে।
সাধারনত যে সকল খাবারে অ্যালার্জি বেশি হয় সেগুলি হল- দুধ, ডিম, বাদাম, সরষে-সূর্যমুখিসহ বীজ, গম, ডাল, সোয়াবিন, সামুদ্রিক মাছ ও প্রাণী বিশেষ করে চিংড়ি মাছে বহু মানুষের অ্যালার্জি হয়। যদের দুধে অ্যালার্জি থাকে, তাদের আবার অনেকেরই গমের প্রোটিন থেকেও সমস্যা দেখা দেয়। যাদের সোয়াবিন খেলে সমস্যা হয় তাদের আবার রাজমা থেকেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রথমদিকে হয়তো দুধ খেলে অসুবিধে হবে, তার পর দেখবেন ঘি-মাখন-ছানা খেলেও অনেক রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই একবারে সমস্ত খাবার না হলেও সুস্থ থাকতে ধীরে ধীরে এগুলি বর্জন করাই ভাল।
আপনার মতামত লিখুন :