শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর! চলতি মাসের এই তারিখে ছুটি ঘোষণা সরকারের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২২, ১০:৫৯ পিএম | আপডেট: মার্চ ২৬, ২০২২, ০৪:৫৯ এএম

রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর! চলতি মাসের এই তারিখে ছুটি ঘোষণা সরকারের
রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর! চলতি মাসের এই তারিখে ছুটি ঘোষণা সরকারের

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ চলতি মাসের ৩০ তারিখ শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি। সেই উপলক্ষে ওই দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। আর্থিক বছর শেষের ঠিক আগের দিন এই ছুটির কারণে বন্ধ থাকতে চলেছে সব সরকারি দফতর।

২০২০ সালে গুরুচাঁদ-হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিতে রাজ্যে সরকারি ছুটির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে ১০ এপ্রিল হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিবস উপলক্ষে ছুটি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশী তিথিতে হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিবস পালিত হয়। তাই ১০ এপ্রিল নয়, ৩০ মার্চই সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হল। এদিন বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার ছুটির কথা ঘোষণা করে। 

এদিন নবান্নের পক্ষ থেকে সংশোধনী আনা হয়। এ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের নয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এবছর মধু কৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথি পড়েছে ১৫ চৈত্র, বাংলার ১৪২৮ সন৷ ইংরেজিতে ৩০ মার্চ ২০২২ সাল৷ সেই কারণেই ওইদিন সব সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, পুরনিগম ও পুরসভাগুলি বন্ধ থাকবে। 

মতুয়াদের নিয়ে রাজ্যের শাসকদল এবং রাজ্য বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক তরজা আজকের নয়। কেন্দ্রের মোদী সরকার মতুয়াদের সবরকম সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস বহুবার দিয়েছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও এই মতুয়াদের ভোট তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়ের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিশেষ করে বিজেপির। খোদ প্রধানমন্ত্রীকে দেখা গিয়েছিল কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দিতে হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের ভিটেয় মতুয়া মন্দিরে পুজো দিয়ে আসতে। তার ফল কিছুটা হলেও পেয়েছিল বিজেপি ভোটের রেজাল্টে। যদিও ২১-এর নির্বাচনে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসে তৃনমূলই। 

অন্যদিকে, যখন বনগাঁর জনসভা থেকে হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিতে সরকারি ছুটির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই সময় তৃণমূল সুপ্রিমোর এই সিদ্ধান্তকে মতুয়াদের মন জয়ের একটা চেষ্টা হিসেবেই দেখেছিল রাজনৈতিক মহল। মুখ্যমন্ত্রীও মতুয়াদের মন জয় করতে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন। হরিচাঁদ, গুরুচাঁদ ঠাকুর বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পাঠ্যপুস্তকে হরিচাঁদের জীবনী পড়ানোর মতো একাধিক দাবির অনেকই পূরণ করেছে রাজ্য সরকার।