বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ফের একবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ১৫ মার্চ নিজাম প্যালেসে তাঁকে গরুপাচার মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন পাঠিয়েছে সিবিআই। এই মামলায় গ্রেফতারি এড়াতে ফের একবার হাইকোর্টে রক্ষাকবচের আবেদন করলেন তিনি। শুক্রবার সকালে এই মামলার শুনানির সম্ভবনা রয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
এর আগেও চলতি বছরের শুরুতেই বীরভূমের তৃণমূলের এই দাপুটে নেতাকে নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। অবশ্য ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় তাঁকে তলব করা হয়েছিল। দুবারই নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে, হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে রক্ষাকবচ চেয়ে আবেদন করেন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি। সেই আবেদন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট। আদালতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে, কোর্টের নির্দেশ ছাড়া কোনোভাবেই গ্রেফতার করা যাবে না অনুব্রত মণ্ডলকে। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কঠিন পদক্ষেপও নেওয়া যাবে না বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়।
কিন্তু রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা থেকে সে দফায় স্বস্তি মিললেও, আবারও সিবিআই অন্য একটি মামলায় তাঁকে তলব করে। গরুপাচার মামলায় তাঁকে একাধিকবার ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু এক্ষেত্রেও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়েই তিনি হাজিরা এড়িয়েছেন। চলতি মাসের ১৫ তারিখ তাঁকে ফের ডেকে পাঠানো হয়ছে। এবার এই কারণেই আরও একবার হাইকোর্টর দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। রক্ষাকবচের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ। তিনি জানিয়েছেন যে, অনুব্রত মণ্ডল আদালতে জানিয়েছেন, তিনি তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করবেন। কিন্তু তাঁকে যেন সিবিআই গ্রেফতার না করেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই একই মামলায় অভিনেতা তথা সাংসদ দেবকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। দেব হাজিরা এড়িয়ে যাননি। তিনি নির্দিষ্ট দিনে, সিবিআই দফতরে গিয়ে দেখাও করেন। টানা ৫ ঘণ্টা জেরার পর, তিনি সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে জানিয়েছিলেন যে, তিনি তদন্তকারীদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তাঁর বয়ান রেকর্ড হয়েছে। যার বয়ানে দেবের নাম উঠে এসেছিল, সেই মূল অভিযুক্ত এলামুল হক বলে তিনি কাউকেই চেনেন না বলেও জানিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি কোনওরকম আর্থিক লেনদেনের বিষয়ও অস্বীকার করেন অভিনেতা দেব।
আপনার মতামত লিখুন :