চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে ফের রণক্ষেত্রের আকার নিল শহর কলকাতা। সরাসরি নিয়োগের দাবিতে পথে নেমেছে শয়ে শয়ে টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। তাদের আটকাতে সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছিল পুলিশ। এরপরই পুলিশের সঙ্গে ধরপাকরে বাধা দেয় আন্দোলনকারীরা তখনই কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ধর্মতলা এক্সাইড চত্বর।
এদিন দুপুর থেকেই রবীন্দ্রসদনের কাছে এক্সাইড মোড়ে জড়ো হতে থাকেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। যদিও এই কর্মসূচির কথা আগে ঘোষণা করা হয়নি। এর ফলে ব্যস্ততম ওই রাস্তায় জমায়েত হতে শুরু করায় স্বাভাবিকভাবেই যানজটের সৃষ্টি হয়। এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে তখনই ধরপ্রাকর শুরু করে পুলিশ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এক্সাইড চত্বর।
এদিকে পুলিশের ধর পাকর শুরু হলেই পুলিশের হস্তক্ষেপে বাধা দেয় আন্দোলনকারীরা। পুলিশ কর্মীরা টেনে হিজরা প্রিজন ভ্যানে তোলার চেষ্টা করে চাকরিপ্রার্থীদের। এরমধ্যে বেশ কিছু চাকরির প্রার্থী প্রিজন ভ্যানেরনিচে ঢুকে পড়ে চাকার সামনে শুয়ে পড়েন। তারা দাবি করেন নিয়োগ না দিলে মৃত্যু বরণ করবেন তারা। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পুলিশ কর্মীরা ট্রেনে হিজরে প্রেজেন্ট ভ্যানের নিচ থেকে আন্দোলনকারীদের বের করার চেষ্টা করে।
এদিকে পুলিশ যখন প্রিজন ভ্যানের নিচ থেকে বিক্ষোভকারীদের বের করার চেষ্টা করছে ঠিক তখনই প্রিজন ভ্যানের ভেতরে থাকা চাকরি প্রার্থীরা বেরিয়ে পড়েন। এই পরিস্থিতিতে এইচএসসি বোস রোড জহরলাল নেহেরু রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে তাদের বিক্ষোভকারীদের তুলতে শুরু করে পুলিশ। ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় ডিসি সাউথের নেতৃত্বে বিপুল পরিমাণে পুলিশ বাহিনী। এদিকে ধস্তাধস্তির সময় বেশ কিছু চাকরি প্রার্থীর মাথা ফেটে যায় বলে অভিযোগ করেন তারা। অসুস্থও হয়ে পড়েন বেশ কিছু জন।
আপনার মতামত লিখুন :