বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ লতা মঙ্গেশকরের পর এবার চলে গেলেন সঙ্গীত জগতের আরও এক নক্ষত্র কিংবদন্তি শিল্পী ‘গীতশ্রী’ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সন্ধেয় ৯০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এদিকে, তাঁর প্রয়াণের খবর পেয়েই, উত্তরবঙ্গ সফর থেকে কলকাতায় ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গ সফর কাটছাঁট করে, কালই কলকাতায় ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শিল্পীর মৃত্যুর খবর পেয়ে, মুখ্যমন্ত্রী একের পর এক টুইট করে প্রয়াত শিল্পীর প্রতি শোক জ্ঞাপন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় আর নেই। তাঁর মৃত্যুতে আমি গভীর শোকাহত। তাঁর মৃত্যুকে সঙ্গীত জগতে ও লাখ লাখ মানুষের হৃদয়ে এক বড় শূন্যতার সৃষ্টি হল। ওঁকে আমি বরাবরই নিজের দিদির মতো নজর রাখতাম। তাই তাঁর মৃত্যু আমার কাছে এক ব্যক্তিগত ক্ষতি। আমাদের সঙ্গীত অ্যাকাডেমির প্রাণ ছিলেন সন্ধ্যা। তাঁকে আমরা `বঙ্গবিভূষণ`, `সঙ্গীত মহাসম্মান` খেতাবে সম্মানিত করেছিলাম।”
প্রসঙ্গত মঙ্গবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ প্রয়াত হন বাংলা স্বর্ণযুগের এই বিশিষ্ট শিল্পী। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে অবসান হল একটা যুগের। গত ২৭ জানুয়ারি অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীতশিল্পী। বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি, এমনটাও জানা গিয়েছিল। ওই দিনই তাঁকে গ্রিন করিডোর করে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছিল তাঁর। করোনাতেও আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপর তাঁকে একইভাবে গ্রিন কড়িডর করে নিয়ে যাওয়া হয় অ্যাপেলোতে। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার থেকেই তাঁর রক্তচাপ কমতে শুরু করেছিল। পেটে ব্যথাও শুরু হয়। মঙ্গলবার তাঁর অবস্থা খারাপ হতে শুরু করলে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত হয়। শেষপর্যন্ত সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা নাগাদ প্রয়াত হন প্রবাদপ্রতিম এই শিল্পী।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে ২০১১ সালে ‘বঙ্গবিভূষণ’, ২০১২ সালে ‘সঙ্গীত মহাসম্মান’ ও ২০১৫ সালে ‘ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলি বিশেষ সঙ্গীতসম্মান’ প্রদান করে। এছাড়া তিনি ভারত নির্মাণ অ্যাওয়ার্ড, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বিএফজেএ অ্যাওয়ার্ড-সহ বহু সম্মানে ভূষিত হন। তিনি আমৃত্যু সভাপতি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সঙ্গীত একাদেমীর। তাঁর মৃত্যুতে সঙ্গীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল নিঃসন্দেহে, যা কখনই পূরণ হওয়ার নয়।
আপনার মতামত লিখুন :