শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

আচমকাই কুণাল ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাৎ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের! তবে কি দলবদল করছেন? মুখ খুললেন নেত্রী

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২২, ০৭:৫৩ পিএম | আপডেট: জুলাই ৬, ২০২২, ০১:৫৩ এএম

আচমকাই কুণাল ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাৎ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের! তবে কি দলবদল করছেন? মুখ খুললেন নেত্রী
আচমকাই কুণাল ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাৎ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের! তবে কি দলবদল করছেন? মুখ খুললেন নেত্রী

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আচমকাই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা হল বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের। এমনটাও শোনা যাচ্ছে যে, দুই বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীর মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয়েছে। এই সাক্ষাতের পর স্বাভাবিকভাবেই উঠতে শুরু করে দলবদলের জল্পনা।  

উল্লেখ্য, বরাবরই স্পষ্টবক্তা হিসেবে পরিচিত রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। যার জন্য একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে তাঁর স্পষ্টবাদিতার জন্য দলের সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছিলেন, ‘যদি রাজনীতিতে না আসতাম তাহলে জানাই হত না কত অযথা সময় মানুষ নষ্ঠ করে।’ এই মন্তব্যের জন্য তাঁকে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে। এবার তাঁকে দেখা গেল তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের সঙ্গে। শুধু দেখা হওয়াই হয়, উভয়ের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ নাকি কথাও হয়েছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। আর তা হল, তবে কি তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়?

এই জল্পনা প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, ‘একটি অনুষ্ঠানে দেখা হয়ে গিয়েছিল বিজেপি নেত্রীর সঙ্গে। উনি আমার দিদির মতোই। দেখা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কথাবার্তা হয়েছে। তবে, তা সৌজন্যমূলক কথাবার্তা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।’ 

অন্যদিকে, এই সাক্ষাতের কথা স্বীকার করে এবার মুখ খুলছেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও। তিনি আবার কুণাল ঘোষের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি সেই সঙ্গে দলবদলের জল্পনাতেও জল ঢেলেছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অন্ধ ভক্ত। তাই পদ্মশিবির ছাড়ার কোনও প্রশ্নই নেই। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, রাজ্যের বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে কুণাল ঘোষের সঙ্গে। তিনি কিছু প্রশ্ন করেছিলেন, যার উত্তরও পেয়েছেন। 

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। এর পরের বছর বিধানসভা নির্বাচনেও লড়েছেন। সেই বছরই বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদ করে তাঁকে।