বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর জেরায় বিস্ফোরক দাবি করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এই মুহূর্তে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। কার নির্দেশে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছিল? নামগুলো কীভাবে বাছাই করা হয়েছিল? কারা এই নামগুলো দিয়েছিল? কোনও প্রভাবশালী যোগ দেওয়া হয়েছিল কিনা সিবিআই-এর তদন্তকারী আধিকারিকদের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছিল।
সূত্রের খবর, জেরায় তিনি বলেন, ‘আমি ওঁদের বিশ্বাস করেছিলাম…।’ ‘ওঁদের’ বলতে তিনি এখানে শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন বলেই অনুমান রাজনৈতিক মহলের।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জট কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত, তার গভীরে পৌঁছাতে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সিবিআই জেরায় জানিয়েছেন, ‘ডিপার্টমেন্ট থেকে ফাইল আসত, সেই ফাইলে সই করতাম’। তাঁর এক্ষেত্রে বিশেষ তেমন কোনও ভূমিকা ছিল না, এমনটাই দাবি করেছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর বিস্ফোরক দাবি, ‘আমার ভূমিকা খুবই সীমিত ছিল, গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া দেখত শিক্ষা দফতর। আমি আধিকারিকদের উপর ভরসা করতাম।’
এই মুহূর্তে শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ও সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। নিজাম প্যালেসে তাঁদের জেরা করছেন সিবিআই-এর গোয়েন্দারা। অন্যদিকে, সূত্রের খবর, সিবিআই-এর জেরার মুখে অনেক কিছুই জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই বয়ানের পর এবার কল্যাণময় এবং শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে ফের জেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই-এর তরফে। পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বয়ানের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে হেফাজতে থাকা আরও আধিকারিকদের বয়ান।
অন্যদিকে, সিবিআই সূত্রে দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর যোগের কথা অস্বীকার করলেও, তথ্যপ্রমাণ বলছে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সরাসরি যোগ রয়েছে এই দুর্নীতিতে। সিবিআইয়ের দাবি, পার্থ তথ্য গোপন করছেন। এদিকে, দুর্নীতির দায় এড়িয়েছেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যাও। এসএসসি’র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্হাকেও ফের হেফাজতে পেয়েছে সিবিআই। বয়ানে অসঙ্গতি থাকলে, তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার সম্ভাবনা রয়েছে, খবর সূত্রের।
সিবিআই-এর আরও দাবি, নবম দশম এবং সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিতে বড় রকমের আর্থিক লেনদেন হয়েছে। শান্তিপ্রসাদ সিনহা তার অন্যতম মূল ষড়যন্ত্রী। তাঁর মাধ্যমেই মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে। তাই তাঁকেও জেরার প্রয়োজন। শান্তিপ্রসাদও সিনহাও তদন্তে অসহযোগীতা করছেন বলে আদালতে দাবি করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবী।
আপনার মতামত লিখুন :