রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

মানিক পত্নীর সঙ্গে জয়েন্ট একাউন্টে থাকা মৃত ব্যক্তি কে? প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

মৌসুমী

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২২, ১০:৫৫ এএম | আপডেট: অক্টোবর ২৯, ২০২২, ০৪:৫৫ পিএম

মানিক পত্নীর সঙ্গে জয়েন্ট একাউন্টে থাকা মৃত ব্যক্তি কে? প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য
মানিক পত্নীর সঙ্গে জয়েন্ট একাউন্টে থাকা মৃত ব্যক্তি কে? প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

অবশেষে প্রকাশ্যে এলো মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী সঙ্গে জয়েন্ট একাউন্টে থাকা মৃত ব্যক্তির পরিচয়। আদালতে ইডির তরফে দাবি করে বলা হয়েছে, মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় বলে যে মৃত ব্যক্তির সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীর জয়েন্ট একাউন্টের খোঁজ মিলেছে তিনি আসলে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীর পিসেমশাই। আর এই তথ্য সামনে আসতেই কার্যত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী সুতপা ভট্টাচার্যের সঙ্গে এই মৃত ব্যক্তি মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় জয়েন্ট একাউন্ট সম্পর্কে ইডি এদিন জানায়, ২০১৬ সালে সুতপা ভট্টাচার্য ওই একাউন্টের জন্য কেওয়াইসি জমা করেছিলেন। কিন্তু ততদিনে মৃত্যুঞ্জয় বাবু মারা গিয়েছেন। কিন্তু ব্যাংকের কাছে সেই তথ্য ছিল না। এই জয়েন্ট একাউন্টে কোটি কোটি টাকা ঢুকেছিল যদিও সেই টাকার সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীর আয়ের কোন যোগাযোগ পাওয়া যায়নি। তবে শুধু মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী নয়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত এই সভাপতি আরো বহু আত্মীয়ের নামে এই ধরনের জয়েন্ট একাউন্টের খোঁজ মিলেছে এবং সেখানেও কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে দাবি করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

এদিকে মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যের অ্যাকাউন্ট থেকেও ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার হদিশ মিলেছে। জানা গিয়েছে, ডিএলডি কলেজ গুলি থেকে অনলাইন ক্লাস বাবদ প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী পিছু ৫০০ টাকা করে সেক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আদালতে ইডির আইনজীবী দাবি করেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের। এছাড়াও চাকরিপ্রার্থীদের থেকে যে টাকা নেওয়া হয়েছে সেই কোটি কোটি টাকা মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে বেনামে খোলা একাউন্টেই রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যকে যাতে জামিন দেওয়া না হয় সে বিষয়েও সওয়াল করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবী।

মানিক ভট্টাচার্যর জেলে হেফাজতের মেয়াদ শেষ হলে তাকে ব্যাংকশাল আদালতে তোলা হয়। সেখানে তাকে জামিন দেওয়ার আবেদন করেছিলেন মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী। কিন্তু সেই জামিন যাতে কোনভাবেই মঞ্জুর করা না হয় সেই নিয়ে পাল্টা আবেদন জানায় ইডি। এমনকি তাদের আরো দাবী, যতটা পরিমাণ জানা গিয়েছে তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র এখনো অনেক রহস্য সামনে আসা বাকি।

ইডির তরফে এদিন আদালতে আরো জানানো হয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের।   নিয়ম-দুর নীতি মামলায় টাকা পয়সার লেনদেন নিয়ে একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট রয়েছে দুজনের। সেই যাবতীয় কথোপকথন খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।