বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আবারও একবার স্পষ্ট করে দিলেন যে, অনুব্রত মণ্ডলের পাশেই আছেন দিদি। এবার তাঁকে বীরের সম্মান দিয়ে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের বুথকর্মীদের নিয়ে সম্মেলনে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজকে ফের একবার নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে এভাবেই গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে সরব হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
এদিন তিনি বলেন, ‘বীরের সম্মান দিয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে কেষ্টকে।’ এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সি লাগিয়ে দিচ্ছে। গতকাল মলয় ফাইট করে বলে দিয়েছে সব মিথ্যে।’ এরপরই তিনি বীরভূমের জেলা সভাপতির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেষ্ট বেচারা একটু অসুস্থ। প্রথমে বগটুই দিয়ে ধাক্কা, তারপর এখন এই। বিজেপি ভাবছে, কেষ্টকে জেলে পুরে বীরভূমের দুটো আসন জিতে নেবে। সে গুড়ে বালি। আমি বলব ভুল ভাবছেন তাহলে। বীরভূম কখনও হারেনি, বীরভূম আনতে শেখেনি।’ পাশাপাশি তিনি আগের নির্বাচনের উদাহরণ দিয়ে প্রশ্নের সুরে বলেন, ‘সব ভোটেই তো ওকে নজরবন্দি করেছে। তা-ও কোনও ভোটে কি জিততে পেরেছে? তাই এবারও পারবে না।’
এরপরই আজকের সম্মেলনে উপস্থিত তৃণমূলের বীরভূম থেকে নির্বাচিত বিধায়ক, ব্লক সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ বিভিন্ন পদাধিকারিকদের উঠে দাঁড়াতে নির্দেশ দেন তিনি। নেত্রীর নির্দেশ মতো সকলে উঠে দাঁড়াতেই, মমতা ফের নির্দেশের সুরে বলেন, ‘কেষ্ট না ফেরা পর্যন্ত আরও জোরদার লড়াই করতে হবে। আরও তিনগুণ লড়াই হবে। কেষ্টকে বীরের সম্মান দিয়ে জেল থেকে মুক্ত করে আনতে হবে।’ এর সঙ্গে নেত্রীর আরও বক্তব্য, ‘তৃণমূলের কয়েকজন স্ট্রং নেতাদের ধরে রেখে ভাবছেন তৃণমূল ভয় পেয়ে যাবে। রোজ সকালে উঠে দাঁত মেজে ইডি বেরিয়ে পড়ছে।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিনও বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফাতারি নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন নেত্রী বলেছিলেন, “কেষ্টর মতো এত সাহায্যকারী ছেলে খুব কম দেখেছি। কী করেছিল কেষ্ট? কেষ্টকে কেন গ্রেফতার করা হল? যতবার নির্বাচন হয়েছে ততবার ওকে ঘরে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। সেদিন তো ওবাইরেই বের হতে পারেনি। ছেলেটা গত দুবছর যে কষ্ট পেয়েছে আমি জানি। ওর বউ ক্যানসারে মারা গিয়েছে। ওর কষ্ট শুধু আমি জানি। প্রতিদিন কলকাতা আর বোলপুর করত। এমনকী, গতবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ওর বউ হাসপাতালে ভর্তি। অপারেশন হচ্ছে। আমাকে একদিন কেষ্ট বলল, ‘দিদি জানো তো তোমার বউমা বলছে আমাকে দেখতে হবে না, যাও দলের কাজ করো’।” এই মুহূর্তে গরু পাচার মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছে অনুব্রত মণ্ডল। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর তাঁকে ফের আদালতে তোলা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :