বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিছানায় পড়ে স্বামীর নিথর দেহ, পাশে পড়ে নাইলনের দড়ি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমান করা হচ্ছে, স্বামীকে গলা টিপে হত্যা করেছে তাঁর স্ত্রী। তাই ইতিমধ্যেই মৃতের অভিযুক্ত স্ত্রী রিঙ্কিকে আটক করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম উৎসব মণ্ডল। ঘটনাটি ঘটেছে ভবানীপুরের চক্রবেড়িয়া রোডে। কিন্তু কেন স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল? কীসের কারণেই বা এই খুন?
পুলিশ সূত্রে খবর, ৪৮ নম্বর চক্রবেড়িয়া রোডে একটি বাড়িতে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে, প্রতিবেশিরা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘর থেকে উদ্ধার করে উৎসবের দেহ। পুলিশের দাবি, মৃতের গলায় আঘাতের চিহ্ন মেলে। ময়নাতদন্তের পর পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে উৎসবকে। এরপর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই উৎসবের স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা মৃত ব্যক্তি উৎসবের। বাবা ছিলেন পেশায় ব্যাঙ্ককর্মী। কিন্তু পরের দিকে অধঃপতন হয় উৎসবের। এদিকে, এও জানা গিয়েছে যে, উৎসব এবং তাঁর স্ত্রী উভয়েই নেশা করতেন। ইদানিং তাঁদের সংসারে আর্থিক অনটন লেগেই থাকত। সব মিলিয়ে সংসারে বিপর্যয় নেমে এসেছিল। এর জেরে সংসারে অশান্তি নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সোমবারও অশান্তি হয় এবং তা চরমে ওঠে।
পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পুলিশকে মৃতের স্ত্রী জানিয়েছে যে, স্বামীর মামার থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন তিনি। সেই টাকা নিয়েই ঘটনার দিন দু’জনের অশান্তি হয়। তবে, ঘর থেকে একটি নাইলনের দড়ি পাওয়া গিয়েছে। উৎসব আগেও সুইসাইডের চেষ্টা করেছিলেন বলেও খবর। সেক্ষেত্রে তা হলে কি পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে নাইলনের দড়ির ব্যবহার করা হয়েছে? সে প্রশ্নও উঠছে।
অন্যদিকে, স্থানীয় সূত্রে এও জানা গিয়েছে যে, রিঙ্কি সম্প্রতি একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। রিস্কির ১৬ বছরের এক সন্তানও রয়েছে। তবে কি নেশার ঘোরেই এই খুন নাকি পরিকল্পিতভাবে স্বামীকে সরিয়ে দিল রিঙ্কি? জানা গিয়েছে, দেহটি বিছানায় শোয়ানো অবস্থায় ছিল। পাশে নাইলনের দড়িও ছিল। শুরু হয়েছে তদন্ত। সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :